ফুরফুরা দরবারের গদ্দীনসীন পীর নায়েবে মুজাদ্দিদ হযরত মাওলানা আবুল আনসার মুহাম্মাদ আবদুল কাহহার সিদ্দিকী আল কুরাইশীর (রহিমাহুল্লাহর) নূরানী জীবন জিন্দেগী
ফুরফুরা দরবারের গদ্দীনসীন পীর নায়েবে
মুজাদ্দিদ হযরত মাওলানা আবুল আনসার মুহাম্মাদ আবদুল কাহহার সিদ্দিকী আল কুরাইশীর
(রহিমাহুল্লাহর) নূরানী জীবন জিন্দেগী
ফুরফুরার গদ্ওলানা আবুল আনসার মুহাম্মাদ আবদুল ক্বাহহার সিদ্দিকী আল কুরাইশীঃ যুগশ্রেষ্ঠ জামিউ’ল ক্বওল
অল্প কথায় ব্যাপক অর্থবোধক
ভাবসম্প্রসারিত বক্তব্য রাখতেন আশরাফুল আম্বিয়া, সাইয়্যেদুল মুরসালিন ﷺ সেই সুন্নাতের অনুসরণে পীর সাহেব ওয়াজ ফরমাতেন। যেমন
নারীদের মহান মর্যাদা একবাক্যে শেষ করতেন এই বলেঃ মেয়েরা নবী হয় নাই কিন্তু নবীদের
মা হয়েছে। এর চেয়ে নারীর মহান মর্যাদা আর কি সহজ-সরল সংক্ষিপ্ত ভাষায় বলা যায়।
নায়েবে মুজাদ্দেদ রহিমাহুল্লাহর বাবল ইসলাম-চট্টগ্রামে
শেষ জীবনের শেষ সফরের ইতিকথা
ফুরফুরা সিলসিলার প্রাণকেন্দ্র ইসলামাবাদ
চট্টগ্রামে নায়েবে মুজাদ্দেদ রহিমাহুল্লাহর জীবনের সর্বশেষ দ্বীনী সফর ছিল খুবই
আকস্মিক। অতি অল্প সময় দেয়া হয়েছিল মাহফিল এন্তেজামের ব্যাপারে। ঢাকা থেকে পীর
সাহেবের পক্ষ থেকে টেলিফোন মারফত জানানো হলো তিনি শীঘ্রই চট্টগ্রাম সফরে আসছেন।
সফরের নির্ধারিত আগমন তারিখ ছিল ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪২৭ হিজরি মোতাবেক ২০০৬ সাল।
এত কম সময়ের মধ্যে পীর সাহেব ইতিপূর্বে কখনও দ্বীনী সফর করতে আমরা দেখিনি। কেন
তিনি এত দ্রুত চট্টগ্রাম সফর করে যাচ্ছেন এর হাকীক্বতও তখন বুঝিনি। বুঝিনি সময়
সংক্ষিপ্ত। এই সংক্ষিপ্ত সময়ে সব কাজ সেরে ফেলা প্রয়োজন!
আখেরি সফরে ‘বাবল
ইসলাম’ চট্টগ্রামে নায়েবে মুজাদ্দেদ রহিমাহুল্লাহ
নির্ভরযোগ্য প্রাচীন বাংলার ইতিহাসসূত্রে
জানা যায় যে, প্রাচীন ভারত উপমহাদেশে সাগর পথে ইসলামের প্রবেশ ঘটেছিল রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটাত্মীয় (মামা সম্পর্কের) হযরত আবু ওয়াক্কাস
রদ্বিয়াল্লাহু আনহু আরব সাগর পথে বঙ্গোপসাগর উপকূল অতিক্রম করে প্রশান্ত
মহাসাগরীয় পথে চীনের ক্যান্টনে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম বন্দরে যাত্রাবিরতিকালে এদেশে
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু অআলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবৎকালেই এই উপমহাদেশে ইসলামের
প্রবেশ ঘটে। এ কারণে চট্টগ্রামকে বলা হয় বাবল ইসলাম অর্থাৎ ইসলামের প্রবেশ দ্বার।
উল্লেখ্য, রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ এবং
মাসিক নেদায়ে ইসলামের ফেব্রুয়ারী ২০১২ সংখ্যা থেকে জানা যায়, রাসুল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের) মামা, মা আমেনার চাচাতো ভাই আবু ওয়াক্কাস (রদ্বিয়াল্লাহু আনহু.)
৬২০ থেকে ৬২৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন (পৃ. ১২৬)। অনেকে
অনুমান করেন, পঞ্চগ্রামের মসজিদটিও তিনি নির্মাণ করেন যা ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে সংস্কার
করা হয়। দেশের প্রথম ও প্রাচীন এই মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে ২১ ফুট ও প্রস্থ ১০ ফুট।
মসজিদের ভিতরে রয়েছে একটি কাতারের জন্য ৪ ফুট প্রস্থ জায়গা।
মসজিদের চার কোণে রয়েছে অষ্টকোণ বিশিষ্ট
স্তম্ভ। ধ্বংসাবশেষ থেকে মসজিদের চূড়া ও গম্বুজ পাওয়া গেছে।
মতিউর রহমান বসুনিয়া রচিত ‘রংপুরে দ্বীনি দাওয়াত’ গ্রন্থেও এই মসজিদের বিশদ
বিবরণ আছে
(তথ্যসূত্রঃ https://m.somewhereinblog.net/mobile/blog/nilakash2021/30275963)।
তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে
অন্ততঃ বার জন খ্যাতনামা আউলিয়ার আগমন ঘটে যার কারণে চট্টগ্রামকে বলা হয় বার
আউলিয়ার ধন্যভূমি। মুঘল আমলে চট্টগ্রামের আদি নাম ছিল ইসলামাবাদ, যা বর্তমানে অন্য
দেশে স্থানান্তরিত।
‘ইসলাম ধন্য’ এই চট্টগ্রামেরই বিশিষ্ট পীরে
কামেল, ‘সিতারা-ই-চাটগাম’ সুফী ফতেহ আলী ওয়ায়েসী রহিমাহুল্লাহর নেক
সুবহতে ধন্য ছিলেন উনারই সুযোগ্য খলিফা ফুরফুরা দরবারের ‘প্রাণ পুরুষ’ মুজাদ্দেদে
জামান হযরত আবদুল্লাহ আল মারুফ আবু বাক্বর সিদ্দিকী আল কুরাইশী রহিমাহুল্লাহ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা
নিবাসী সুফী ফতেহ আলী ওয়ায়েসী রহিমাহুল্লাহ ছিলেন চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত উপজেলা
মীরশ্বরাইয়ের নিজামপুরে অবস্থিত ‘মলিয়াশ’ নামক
গ্রামে শায়িত গাজিয়ে বালাকোট ‘হেলাল-ই-চাটগাম’ সুফী নূর
মোহাম্মাদ নিজামপুরী রহিমাহুল্লাহর খলিফা। ইতিহাস গবেষকদের মতে, গাজিয়ে বালাকোট
ছিলেন একজন চেচেনিয়ান (সূত্রঃ মাওলানা মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক
প্রিন্সিপ্যাল, বায়তুশ শরফ, চট্টগ্রাম)। গাজিয়ে বালাকোট সুফী নূর মোহাম্মাদ
নিজামপুরী রহিমাহুল্লাহ ছিলেন উপমহাদেশের বিশিষ্ট আলেমে বিল্লাহ, আরিফ বিল্লাহ শাহ
আবদুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলভী রহিমাহুল্লাহর বিশিষ্ট খলিফা। শাহ আবদুল আজিজ
মুহাদ্দিস দেহলভী রহিমাহুল্লাহ ছিলেন তদীয় পিতা উপমহাদেশের আধ্যাত্মিক প্রাণ পুরুষ
শাহ আবদুর রহীম দেহলভী রহিমাহুল্লাহর সুযোগ্য সাহেবজাদা।
মাওলানা আবুল আনসার মুহাম্মাদ আবদুল ক্বাহহার সিদ্দিকী
আল কুরাইশীঃ যুগশ্রেষ্ঠ জামিউ’ল ক্বওল
অল্প কথায় ব্যাপক অর্থবোধক
ভাবসম্প্রসারিত বক্তব্য রাখতেন আশরাফুল আম্বিয়া, সাইয়্যেদুল মুরসালিন ﷺ সেই সুন্নাতের অনুসরণে পীর সাহেব ওয়াজ ফরমাতেন। যেমন
নারীদের মহান মর্যাদা একবাক্যে শেষ করতেন এই বলেঃ মেয়েরা নবী হয় নাই কিন্তু নবীদের
মা হয়েছে। এর চেয়ে নারীর মহান মর্যাদা আর কি সহজ-সরল সংক্ষিপ্ত ভাষায় বলা যায়।
নায়েবে মুজাদ্দেদ রহিমাহুল্লাহর বাবল ইসলাম-চট্টগ্রামে শেষ জীবনের শেষ সফরের ইতিকথা
ফুরফুরা সিলসিলার প্রাণকেন্দ্র ইসলামাবাদ
চট্টগ্রামে নায়েবে মুজাদ্দেদ রহিমাহুল্লাহর জীবনের সর্বশেষ দ্বীনী সফর ছিল খুবই
আকস্মিক। অতি অল্প সময় দেয়া হয়েছিল মাহফিল এন্তেজামের ব্যাপারে। ঢাকা থেকে পীর
সাহেবের পক্ষ থেকে টেলিফোন মারফত জানানো হলো তিনি শীঘ্রই চট্টগ্রাম সফরে আসছেন।
সফরের নির্ধারিত আগমন তারিখ ছিল ১লা রবিউল আউয়াল, ১৪২৭ হিজরি মোতাবেক ২০০৬ সাল।
এত কম সময়ের মধ্যে পীর সাহেব ইতিপূর্বে কখনও দ্বীনী সফর করতে আমরা দেখিনি। কেন
তিনি এত দ্রুত চট্টগ্রাম সফর করে যাচ্ছেন এর হাকীক্বতও তখন বুঝিনি। বুঝিনি সময়
সংক্ষিপ্ত। এই সংক্ষিপ্ত সময়ে সব কাজ সেরে ফেলা প্রয়োজন!
Comments
Post a Comment