“প্রত্যেক বিষয় মূলে পৌঁছে”(ফারাবী আল আরাবী)

“প্রত্যেক বিষয় মূলে পৌঁছে”(ফারাবী আল আরাবী)

বিগ ব্যাং তথা মহাবিশ্বের জন্ম কীভাবে? কি দিয়ে? এবং কেন? এই মৌলিক তিনটি প্রশ্নের মধ্যে ফিজিক্স নামক পদার্থ বিজ্ঞানের গবেষণার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছেঃ বিগ ব্যাং তথা মহাবিশ্বের জন্ম কীভাবে? কি দিয়ে? এ প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায় এভাবেঃ প্রকৃতিতে এত এত কণা-এসব কি দিয়ে তৈরি কেউ জানে না। অআমরা সাধারণ মানুষ জানি  লোহা দিয়ে ইস্পাত হয়, ইস্পাত থেকে যাবতীয় কলকব্জা, যন্ত্র, মেশিন তৈরি হয়, যেমন গম দিয়ে আটা হয়, আটা দিয়ে ময়দা হয়, ময়দা দিয়ে রুটি বিস্কুট,কেক ইত্যাদি হয়, অনুরূপ ধান দিয়ে চাল হয়, চাল দিয়ে ভাত, শিরনী,ফিরনী,নানান রকমের পিঠা-পুলী  ইত্যাদি তৈরি হয় অর্থাৎ এসবের মূল হচ্ছে লোহা, গম এবং ধান।

একইভাবে মহাবিশ্বেরও মূল রয়েছে। এই মূল অনুসন্ধানের জন্য বিজ্ঞানীরা বেছে নিয়েছেন মহাবিশ্বের তিন প্রধান উপরোক্ত প্রশ্নের প্রথম প্রশ্নঃ বিগ ব্যাং তথা মহাবিশ্বের জন্ম কীভাবে? মডার্ণ কসমোলজিক্যাল এ প্রশ্নের মোটামুটি প্রায় মূলে পৌঁছে গেছে এই উত্তরেঃ বিগ ব্যাং তথা মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছিল Highest Energetic Radiation এ মহাবিস্ফোরণের ফলে।বিজ্ঞানীদের এই উত্তরে দার্শনিকরা যেমন সন্ত্তষ্ট তেমনি আধ্যাত্মিকতাবাদী ধার্মিকরাও। কারণ পদার্থ বিজ্ঞানীদের Highest Energetic Radiation এর ধারণা না দর্শনে না ধর্মে সাংঘর্ষিক বরং সহমত বান্ধব।

তবে মহাবিশ্বের বহুমুখী যে ব্যাপকতা, তাতে মহাবিশ্বকে পুরোপুরি জানার, বুঝার জন্য কেবল বিগ ব্যাং তথা মহাবিশ্বের জন্ম কীভাবে? এর সদুত্তরে সীমাবদ্ধ নয়। বরং এ  প্রশ্নটিও জানতে এবং বুঝতে হবেঃ প্রকৃতিতে এত এত কণা-এসব কি দিয়ে তৈরি?

উল্লেখ্য, ১০-১৬ সেন্টিমিটার দর্শন ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা   এ পর্যন্ত জানতে পেরেছেনঃ পদার্থের এ পর্যন্ত সূক্ষ্ণতর কণা বিবেচনায় “কোয়ার্ক” (Qoark) হচ্ছে সকল কণা তথা বস্ত্তমূলের উৎস। তবে শক্তি বিবেচনায় জানা যাচ্ছেঃ স্ট্রিং থিওরির স্ট্রিংয়ের কম্পনের উৎসমূল শক্তিতে নিহিত আছে মহাবিশ্বের মূলোৎস। হতে পারে “মহাশক্তিই মহাবিশ্বের মহামূল”

মহাবিস্ফোরণ কী উদ্দেশ্যপূর্ণ নাকি নিছক দূর্ঘটনা?

IRRSTC মনে করে, মহাবিস্ফোরণের প্ল্যাংক সময়ের পরক্ষণের অবস্থা থেকে বুঝা যায় যে, মহাবিস্ফোরণ পুরোপুরি উদ্দেশ্যপূর্ণ। অবস্থাটি ছিল এনট্রপিং অর্থাৎ উষ্ঞতা  থেকে ক্রমশঃ শীতলতামুখি। অআজও উত্তপ্ত অবস্থার  পরিণতি ক্রমশঃ শীতলদায়ক। মহাবিশ্বের শুরুতে তাপমাত্রা ছিল.......ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাছাড়া, পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়ম হচ্ছেঃ বস্তু চুপসে যেতে যেতে পুরোপুরি ভ্যানিশ বা নিঃশেষ হওয়ার পরিবর্তে এক পর্যায়ে থেমে যায় পরমবিন্দুতে এসে যাকে সিঙ্গুলারিটি বলা হয়। এনট্রপির সিঙ্গুলারিটি দাঁড়ায় গড়ে ৫০ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে যা মানব এবং প্রাণীর প্রাণ ধারণ উপযোগি।

মহাবিশ্বের সৃষ্টি, ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনায় কী বুদ্ধিমাত্রিক?

বিগ ব্যাং, মহাবিশ্ব তথা আমাদের জন্ম কেন? এই জাতীয় প্রশ্ন রেখেছিলেন প্রখ্যাত মার্কিন জ্যোতি-পদার্থ বিজ্ঞানী  কার্ল সাগান মহাকাশের দূর নক্ষত্রে সম্ভাবনাময় বুদ্ধিমান প্রাণীর উপস্থিতি অনুভব করে। পাশাপাশি বিজ্ঞানের কিছু অমীমাসিংত বিষয়ের মীমাংসা কামনাও কামনা করেন।পদার্থ বিজ্ঞানের অমীমাংসিত প্রশ্নের মধ্যে এটাও একটা প্রশ্ন যে,   বিগ ব্যাং তথা মহাবিশ্বের জন্ম কেন? IRRSTC  মনে  করে, যেহেতু পদার্থ বিজ্ঞানের অন্তত দশ মৌলিক বিষয় এখনও অমীমাংসিত এবং যেহেতু  এখনও কোভিড-১৯ অআক্রান্ত এবং তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অআশংকার পাশাপাশি প্রযুক্তির অপব্যবহার জনিত বৈশ্বিক  উষ্ঞতা বৃদ্ধির কারণে পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের দায়ভাবে  পরিবেশ সচেতন মানুষ বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার কারণে বিজ্ঞানের উর্বর ফসল প্রযুক্তি জনপ্রিয় হলেও বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাসে IRRSTC উদ্বিগ্ন। স্মরণ করা যেতে  পারে কাল সাগানের স্ত্রী অনেক আগেই বিজ্ঞান জগতের অআসন্ন বিপদে সতর্ককরেবলেনঃ আমি অনেক মেধাবী ছেলেকে চিনি যারা বিজ্ঞানকে ঘৃণা করে।চতুর্থশিল্ল বিপ্লবের  নামে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলেন্সির অপব্যবহারের অআশংকায় এখন পুরো বিশ্ব আতংকিত। এরি পরিপ্রেক্ষিতে করোনা নামের ছদ্মবেশী ভাইরাস কী দূরগ্রহের অতিবুদ্ধিমান প্রাণীর মহড়া? যার আশংকায় স্টিফেন হকিং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আতংকিত  ছিলেন।

এমতাবস্থায় IRRSTC মনে করে সত্যকে কখনও সরলতার মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়” (https://bn.wikiquote.org/wiki/আইজাক_নিউটন) আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম স্থপতি স্যার আইজাক নিউটনের     প্রাতঃস্মরণীয় এই উক্তিকে ধারণ করে যথাশীঘ্রই পদার্থ বিজ্ঞানের দশ অমীমাংসিত প্রশ্নের সরল ব্যাখ্যার মাধ্যমে মীমাংসা করি কিংবা অনাগত নতুন বিজ্ঞান ফ্রন্টিয়ার সায়েন্সের জন্য অপেক্ষমান থাকি।

সহজ-সরলতার মাধ্যমে কতিপয় অমীমাংসিত সমস্যার বৈজ্ঞানিক সমাধান

প্রশ্ন নং- ১: প্রকৃতিতে এত এত কণা-এসব কি দিয়ে তৈরি?

IRRSTC এর সম্ভাব্যঃ Big Bang, Highest Energetic Radiation তথা মহাবিশ্ব কি দিয়ে তৈরি? IRRSTC এর অর্ধ দশক (২০১৮-২০২৩) ব্যাপী গবেষণামতে, Highest Energetic Radiation তথা মহাবিশ্ব ৪মহাবলের সমষ্টি যাতে আজকের বহুল আলোচিত ডার্ক এনার্জি এবং ডার্ক ম্যাটারও রয়েছে।

গবেষণায় আইনস্টাইনের ভরশক্তি সমীকরণ বিশ্লেষণে জানা যায় যে, ৪মহাবলের সমষ্টি যাতে আজকের বহুল আলোচিত ডার্ক এনার্জি এবং ডার্ক ম্যাটার, গামা রশ্মি, বেটা রশ্মি, এক্স-রে, ফোটন, হিগস বোসন, নিউট্রন, প্রোট্রন, নিউক্লিয়ার, হাইড্রোজেন,নাইট্রোজেন, হিলিয়াম, কার্বন ডাই অক্সাইড, অক্সিজেন নির্বিশেষে কঠিন, তরল, বাস্পীয়ভবন,প্লাজমা সব কিছুর একক উৎসমূল শক্তি যার অ্যাবট্রাক্ট (অতীন্দ্রীয়) নাম প্রকৃতি (Nature) যার দার্শনিক এবং আধ্যাত্মিক স্ব-স্ব ক্ষেত্রে রয়েছে স্বতন্ত্র মূল্যায়ন ও ব্যাখ্যা।

উপরোক্ত পরিস্থিতিতে IRRSTC মনে করে বিগ ব্যাং, মহাবিশ্ব তথা আমাদের জন্ম কেন? এর  উত্তর যেহেতু ফিজিক্স নামক সীমিত পদার্থ বিজ্ঞানে এই প্রশ্নের উত্তরে যাওয়া সময়সাপেক্ষ এবং সময় ক্ষেপনমাত্র সেহেতু এর উত্তর ভবিষ্যত নতুন বিজ্ঞান  ফ্রন্ট্রিয়ার সায়েন্সের জন্য অপেক্ষমান রাখা উত্তম।  প্রস্তাবিত নতুন বিজ্ঞান ফ্রন্ট্রিয়ার সায়েন্স  একাধারে দার্শনিক,ধর্মবিদ এবং বিজ্ঞানীদের সম্মিলিত উদ্যোগে প্রবর্তিত হতে পারে  যা আইনস্টাইন এবং খ্যাতনামাবিজ্ঞানীদের বহুল প্রত্যাশিত এবং স্বপ্নিল গ্রান্ড ইউনিফিকেশন থিওরিকে বাস্তবতা দিতে পারে, কূলকিনারা পাওয়া যেতে পারে অদ্ভূতুড়ে মহাকর্ষ এবং সায়েন্স ফিকশন প্রতিবল গ্র্যাভিটনেরও।

প্রশ্ন নং ২ (ক) : মহাবিশ্বের মহাবিস্ময় মহাকর্ষের কূলকিনারা কোথায়? এটি টানে নাকি চাপে? ২(খ): গ্র্যাভিটন কাল্লনিক নাকি সত্য?

প্রশ্ন নং-৩: স্ট্রিং তত্ত্ব প্রমাণের জন্য ১০-৩৩ সেন্টিমিটার আকারের ক্ষুদ্রতম ডিজিটাল অণুবীক্ষণ যন্ত্র কী আদৌ জরুরী ? যেমন স্ট্রেন্জ কোয়ার্কের জরুরী নয়।

প্রশ্ন নং-৪: অসীম শক্তি অর্জনের শর্তে বস্তুকণা আইনস্টাইনের E=mcএর  উর্ধ্বে ‌ নিউট্রনো জাতীয় বস্তুকণা আদৌ কি কখনও আলোর গতি ছাড়িয়ে যেতে পারবেনা?

 

 


Comments

Popular posts from this blog

Ashraful Ambia Muhammadur Rasulullah Sallallahu A'laihi Wasallam: in the eyes of prominent Non-Muslim scholars

The Alhambra in Granada, Spain

Unique Green World Pictures