ইসলামী বিজ্ঞানের আলোকে মহাকর্ষ বল
মহাকর্ষের IRRSTC তত্ত্ব
মহাকর্ষ বল
اِنَّ اللّٰهَ یُمۡسِکُ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ اَنۡ تَزُوۡلَا ۬ۚ وَ لَئِنۡ زَالَتَاۤ اِنۡ اَمۡسَکَهُمَا مِنۡ اَحَدٍ مِّنۡۢ بَعۡدِهٖ ؕ اِنَّهٗ کَانَ حَلِیۡمًا غَفُوۡرًا ﴿۴۱﴾
ফাতিরঃ৪১
নিশ্চয় আল্লাহ আসমানসমূহ ও যমীনকে ধরে রাখেন যাতে এগুলো স্থানচ্যুত না হয়। আর যদি এগুলো স্থানচ্যুত হয়, তাহলে তিনি ছাড়া আর কে আছে, যে এগুলোকে ধরে রাখবে? নিশ্চয় তিনি পরম সহনশীল, অতিশয় ক্ষমাপরায়ণ। আল-বায়ান
আল্লাহই আসমান ও যমীনকে স্থির রাখেন যাতে ও দু’টো টলে না যায়। ও দু’টো যদি টলে যায় তাহলে তিনি ছাড়া কে ও দু’টোকে স্থির রাখবে? তিনি পরম সহিষ্ণু, পরম ক্ষমাশীল। তাইসিরুল
আল্লাহ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে সংরক্ষণ করেন যাতে ওরা স্থানচ্যূত না হয়, ওরা স্থানচ্যূত হলে তিনি ব্যতীত কে ওদেরকে সংরক্ষণ করবে? তিনি অতি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ। মুজিবুর রহমান
Indeed, Allah holds the heavens and the earth, lest they cease. And if they should cease, no one could hold them [in place] after Him. Indeed, He is Forbearing and Forgiving. Sahih International
اِنِّیۡ تَوَکَّلۡتُ عَلَی اللّٰهِ رَبِّیۡ وَ رَبِّکُمۡ ؕ مَا مِنۡ دَآبَّۃٍ اِلَّا هُوَ اٰخِذٌۢ بِنَاصِیَتِهَا ؕ اِنَّ رَبِّیۡ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ﴿۵۶
‘আমি অবশ্যই তাওয়াক্কুল করেছি আমার রব ও তোমাদের রব আল্লাহর উপর, প্রতিটি বিচরণশীল প্রাণীরই তিনি নিয়ন্ত্রণকারী। নিশ্চয় আমার রব সরল পথে আছেন’। আল-বায়ান
আমি নির্ভর করি আল্লাহর উপর যিনি আমার আর তোমাদের রব, এমন কোন জীব নেই যার কতৃত্ব তাঁর হাতে নয়, নিশ্চয়ই আমার রব সরল পথের উপর প্রতিষ্ঠিত। তাইসিরুল
আমি আল্লাহর উপর ভরসা করেছি, যিনি আমার রাব্ব এবং তোমাদেরও রাব্ব; ভূ-পৃষ্ঠে যত বিচরণকারী রয়েছে সবাই তাঁর মুষ্টিতে আবদ্ধ; নিশ্চয়ই আমার রাব্ব সরল পথে রয়েছেন। মুজিবুর রহমান
Indeed, I have relied upon Allah, my Lord and your Lord. There is no creature but that He holds its forelock. Indeed, my Lord is on a path [that is] straight." Sahih International
আমাদের বদ্ধমূল ধারণা-বিশ্বাস (মিথ) যে, আমরা মর্ত্যবাসী বা মাটির পৃথিবীবাসী। এটা সত্য যে, আমাদের দেহ মাটির তৈরি। কিন্তু সেই দেহের সাথে জীবৎকালে মাটির সম্পর্ক কতটুকুন? সহজভাবে বলা যায়, দৈহিক সম্পর্ক খুবই কম। বড়জোর ০.৯৯ শতাংশ। কারণ দাঁড়ালে পায়ের চামড়া, শোয়া অবস্থায় পিঠের চামড়া, বসা অবস্থায় নিতম্বের চামড়ার স্পর্শ, হাই জাম্প, লং জাম্প দিলে তো ভূত্বকের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্কই অবশিষ্ট থাকার কথা নয়।বরং বায়ুর উর্ধ্বচাপের দরুন তুলার মতো উড়ে যাবার কথা। অথচ বায়ুর প্রবল উর্ধ্বচাপ উপেক্ষা করে আমরা বহাল তবিয়তে আঠার মতো লেগে আছি ভূত্বকের সাথে!এ এক অত্যাশ্চর্য্যের কথা।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এতো হালকাভাবে লেগে থাকা সত্ত্বেও বাতাসের প্রবল উর্ধ্বচাপ সহ্য করে আমরা বহাল তবিয়তেই পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়ে থাকি, হেঁটে চলি, দৌড়ে চলি এমনকি লাফিয়েও চলি কখনও কখনও। তুলোর মতো উড়ে ধুলি-কণার মতো ভেসে ভেসে মহাশুন্যের গভীর থেকে গভীরান্তরে হারিয়ে যাই না।
মহাকর্ষ নিয়ে আমাদের উচ্চ ধারণার মাত্রা
"কখনো কি ভীষণ বিস্ময়ে ভেবেছেন, আপনি পৃথিবীতে আটকে আছেন কেন? মহাকাশে ছিটকে পড়ছেন না কেন? এর একটিই উত্তর, মহাকর্ষ। এই বলটাই আপনাকে ভূপৃষ্ঠে আটকে রেখেছে। মহাকর্ষ ছাড়া আমরা কেউই পৃথিবীতে আটকে থাকতে পারতাম না, থাকতে হতো মহাশূন্যে ভেসে। অবশ্য তখন মহাবিশ্বও পরিণত হতো ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন ও বিশালাকৃতির গ্যাস আর ধূলিকণায়। মহাকর্ষ না থাকলে গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ বলে কিছু থাকত না। কাজেই বলতেই হচ্ছে, মহাকর্ষের প্রভাব বলেন আর প্রতিপত্তি বলেন, তা বিশাল, বিপুল। অনেক বড় পরিসরের"।
"আসলে মহাকর্ষই পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ, নক্ষত্র ও ছায়াপথের গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করছে। সূর্যে শক্তি নিঃসরণ বা মহাকাশের দানব কৃষ্ণগহ্বরও তৈরি হচ্ছে ওই বলের কারণেই। কথিত আছে, নিউটনের মাথায় আপেল পড়ার জন্যও দায়ী ওই বল"।
"আমরা জানি, আমাদের চারপাশের জগতে এই বলটা কাজ করছে"।
মহাকর্ষ নিয়ে যত নিম্ন ধারণা !
"অথচ মহাবিশ্বের চারটি মৌলিক বলের মধ্যে মহাকর্ষই সবচেয়ে দুর্বল। কিন্তু কতটা দুর্বল?
সেটি শুনলেও অনেকের চোখ কপালে উঠে যেতে পারে। মোটা দাগে বললে, অন্য তিনটি মৌলিক বলের তুলনায় প্রায় ১০৩৬ ভাগ দুর্বল এই মহাকর্ষ। অর্থাৎ ১/১,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ ভাগ দূর্বল"।
"কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না এই বলটা অদ্ভুত। জাত-ধর্মেও অন্যদের চেয়ে আলাদা। অসামাজিক। কারণ, মহাবিশ্বের অন্যান্য মৌলিক বলের প্যাটার্নের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, সেগুলোর সঙ্গে মহাকর্ষের কোনো মিল নেই। প্রথমত, অন্যান্য বলের তুলনায় মহাকর্ষ খুবই দুর্বল। আবার এই বল কখনো বিকর্ষণ করে না, সব সময় আকর্ষণ করে। শুধু কি তাই, কোয়ান্টাম জগতের সঙ্গেও এই বলকে খাপ খাওয়ানো যায় না। মোদ্দা কথা, মহাকর্ষ টানে সবাইকে, কিন্তু অন্যদের সঙ্গে বাঁধনে জড়ায় না"
"আবার অন্য মৌলিক বলগুলোর সঙ্গে খাপ না খাওয়ার ব্যাপারটাও বেশ রহস্যময়। বিজ্ঞানীদের জন্য হতাশাজনকও বটে"।
প্রথমতঃ মহাকর্ষের সাথে মহাকাশের যত সম্পর্ক তত সম্পর্ক পৃথিবীর আকাশে কিংবা পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠে রয়েছে কিনা?
দ্বিতীয়তঃ মহাকর্ষকে যদি বলা হয় অভিকর্ষ তাহলে তা বুঝাবে মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে। তাহলে পৃথিবীর বুকে আমাদের লেগে থাকার ব্যাপারে মহাকর্ষের নয়; অভিকর্ষ বা মধ্যাকর্ষণের ভূমিকা থাকতে পারে। তাহলে মহাকর্ষ আমাদেকে টানে কিনা–পৃথিবীতে এমন প্রশ্ন উঠার অবকাশ কোথায়?
মধ্যাকর্ষণ যেভাবে টানে?
IRRSTC মনে করে যে, মধ্যাকর্ষণ আমাদেরকে পৃথিবীর ভূত্বকের দিকে টানার ব্যাপারে আমাদের দেহের বস্তুগত উপাদানিক সবিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর কক্ষ পথে রয়েছে শক্তিশালী চুম্বক ক্ষেত্র যা পৃথিবীকে সূর্যের করোনা স্ট্রম থেকে সুরক্ষা দেয়। তাছাড়া রয়েছে মহাশুন্যে বিদ্যমান ৪ মহাবলের অন্যতম বিদ্যু্ৎ চৌম্বকীয় বল- যা পৃথিবীতে মানুষসহ প্রাণীকূলের দেহে প্রভাবিত। সেমতে আমাদের দেহ ম্যাগনেটিক বলা যেতে পারে। আর পৃথিবীকে ধরা যেতে পারে মিনারেল আয়রণ বা খনিজ লোহা সমৃদ্ধ। তাহলে বলা যেতে পারে, পৃথিবীর ভূ-ত্বক অর্থাৎ মধ্যাকর্ষণ বা অভিকর্ষ আমাদেরকে টানে। ফলে আমরা বায়ুর প্রবল উর্ধ্বচাপ সত্ত্বেও পৃথিবীর বুকে আটকে থাকি। অথচ আমাদের সাথে ভূত্বকের দৈহিক সম্পর্ক খুবই কম। কারণ, দাঁড়ালে দুই পা, হাঁটলে এক পা সম্পর্ক যুক্ত, লাফিয়ে লাফিয়ে চললে কোনো পা-ই পৃথিবীর ভূত্বকের সাথে সম্পর্ক থাকার কথা নয়।
অবশ্য এতে প্রশ্ন থেকে যায় যে, মানব দেহে ম্যাগনেট ছাড়াও যেমন খনিজ আয়রণ রয়েছে তেমনি ভূ-ত্বকে আয়রন ছাড়াও রয়েছে খনিজ ম্যাগনেশিয়াম । তাহলে দেহকে শুধু ম্যাগনেট এবং ভূ-ত্বককে শুধু আয়রন বিবেচনার তাহলে অবকাশ কোথায়?
উল্লেখ্য, এক গবেষণায় জানা যায় যে, মানব দেহে এতো পরিমাণ আয়রণ বা লৌহ কণিকা রয়েছে যে, তাতে এমন এক বড় মাপের পেরেক তৈরি করা সম্ভব- যদ্বারা একজন মানুষকে সেই পেরেকে বিদ্ধ করে অনায়াসে ঝুলিয়ে রাখা যাবে। রক্তের শিরায় শিরায় রয়েছে এই আয়রন বা লোহা।
সুতরাং দেহের একদিকে আয়রণ অন্যদিকে ম্যাগনেটের উপস্থিতিতে পৃথিবীর মাটিতেও ম্যাগনেট থাকায় আমাদেরকে আকর্ষণ করতে মধ্যাকর্ষণ কতটুকুন শক্তিমান? প্রশ্ন বটে।
উদাহরণস্বরূপ, সূর্যের বেশির ভাগ যদি ধনাত্মক বৈদ্যুতিক চার্জ দিয়ে গঠিত হতো এবং পৃথিবী যদি বেশির ভাগ ঋণাত্মক চার্জ দিয়ে গঠিত হতো, তাহলে এই দুইয়ের মধ্যে যে আকর্ষণ দেখা যেত, তার পরিমাণ হতো বিপুল। তাহলে আমাদের গ্রহটাকে অনেক আগেই সূর্য গিলে ফেলত। কিন্তু পৃথিবী গঠিত হয়েছে প্রায় সমপরিমাণ ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জ দিয়ে। আবার সূর্যও গঠিত হয়েছে সমপরিমাণ ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জে। তাই তারা বিদ্যুৎ–চৌম্বকীয়ভাবে পরস্পরকে সেভাবে প্রভাবিত করে না। পৃথিবীর প্রতিটি ধনাত্মক ও ঋণাত্মক কণার উভয়েই সূর্যের ধনাত্মক ও ঋণাত্মক কণা দিয়ে আকর্ষিত ও বিকর্ষিত হয়। তাই সব বিদ্যুৎ–চৌম্বকীয় বল বাতিল হয়ে যায়। অনুরূপ মহাকর্ষের বা অভিকর্ষের টানা-না টানার ক্ষেত্রে মহাকর্ষের বা অভিকর্ষের ধারণা বাতিল হয়ে যেতে পারে। কিন্ত্ত মহাকর্ষ আকর্ষণধর্মী হওয়ার কারণে একে কখনো বাতিল করা যায় না।
এমতাবস্থায়, যদি অভিকর্ষ অর্থাৎ মধ্যাকর্ষণ থেকে মহাকর্ষকে উর্ধ্বজাগতিক আলাদা বল (ফোর্স) ভাবি তাহলে আমাদেরকে পৃথিবীর ভূত্বকে আটকে থাকার ব্যাপারে মহাকর্ষের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখার আশা করতে পারি। কিন্ত্ত এক্ষেত্রেও রয়েছে প্রতিবন্ধকতা। আর তা হচ্ছে, ১) মহাকর্ষের ভীষণ দূর্বল প্রকৃতির হওয়া এবং ২) টানার প্রবণতা।মহাকর্ষ যদি সত্যিই আমাদের টেনে থাকে তাহলে ভূত্বকে প্রাণীকূলের লেগে থাকার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত ভূমিকার কারণে মহাকর্ষ আমাদেরকে উপরে তুলে নিয়ে যাওয়ারই কথা ! তার উপর খাড়ার ঘা হওয়ার কথা পৃথিবী যদি আদৌ দোলনের মত ঘুরে থাকে তাহলে আমাদের ছিটকে মহাশুন্যের অনন্ত-অসীম মহাশুন্যে পড়ে যাওয়ারই কথা।সত্যিই মহাকর্ষ মহাবিশ্বের মহাবিস্ময়! যার কোনো কূল কিনারা পাওয়া যাচ্ছে না আজও।
"মহাকর্ষের দুটি কৌতূহলী ও অমীমাংসিত ধর্ম দেখা যাচ্ছে। প্রথমটা হলো অন্য বলগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এই বলটা খুবই দুর্বল। দ্বিতীয়ত, বলটা শুধু আকর্ষণ করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কণার চার্জের ওপর নির্ভর করে অন্য বলগুলো আকর্ষণ, বিকর্ষণ দুটিই করে। দেখা যাচ্ছে, নানা দিক দিয়ে মহাকর্ষ বেশ অস্বাভাবিক। তাহলে প্রশ্ন আসে, মহাকর্ষ এ রকম আলাদা কেন? এর একমাত্র উত্তর, আমরা জানি না"।
তবে হতাশার মাঝে আশার আলো হয়ে আছে গ্র্যাভিটন কণা, আরও আছে কোয়ান্টাম মহাকর্ষ তরঙ্গ।
আশার আলো গ্র্যাভিটনঃ
লার্জ হ্যাড্রন কলাইডারে ২০১২ সালে কণাটি শনাক্ত করাও সম্ভব হয়েছে। আবার দুর্বল বল কেন ক্ষুদ্র পরিসরে কাজ করে, তার ব্যাখ্যাও পাওয়া যায় এ মডেল থেকে। আসলে এ বলবাহী কণার ভর অনেক বেশি। সে কারণে কণাটির চলাচল সীমাবদ্ধ। এত সফলতা সত্ত্বেও স্ট্যান্ডার্ড মডেলের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, একই উপায়ে মহাকর্ষকে ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না। কিন্তু কেন?
কোয়ান্টাম মেকানিকসের মাধ্যমে মহাকর্ষকে ব্যাখ্যা না করতে পারার দুটো কারণ রয়েছে। প্রথমত স্ট্যান্ডার্ড মডেলে মহাকর্ষকে খাপ খাওয়াতে গেলে মহাকর্ষও কোনো কণার মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয় বলে কল্পনা করে নিতে হয়। পদার্থবিদেরা এই হাইপোথেটিক্যাল কণার একটি গালভরা নামও দিয়েছেন—‘গ্র্যাভিটন’। বাংলায় বলা যায় মহাকর্ষ কণা। এ কণার অস্তিত্ব যদি সত্যিই থাকে, তাহলে আপনি শুয়ে, বসে বা দাঁড়িয়ে যেখানেই থাকুন না কেন, আপনার দেহ থেকে অনবরত অতিক্ষুদ্র বলের মতো গ্র্যাভিটন কণা ছুটে যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠের দিকে। আবার ভূপৃষ্ঠ থেকেও একই রকম কোয়ান্টাম কণা ছুটে আসছে আপনার দিকে। এই দুই মহাকর্ষ কণা বিনিময়ের কারণে আপনি পৃথিবীর বুকে আটকে থাকতে পারছেন। আবার পৃথিবী যে সূর্যের চারদিকে ঘুরে বেড়াতে পারছে, তার কারণও ওই গ্র্যাভিটন কণার অবিরাম স্রোত দুইয়ের মধ্যে বিনিময় হচ্ছে। এভাবে মহাকর্ষকে বেশ ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু এ ধারণার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গ্র্যাভিটনের অস্তিত্ব পুরোটাই কাল্পনিক।
এমতাবস্হায় সির্ণ মনে করে, মহাকর্ষের দূর্বলতা এবং টানার উপরোক্ত দুই প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্যের কারণে পৃথিবীর ভূত্বকে লেগে থাকা কিংবা আটকে থাকার ব্যাপারে মহাকর্ষের হিতে বিপরীত ভূমিকা থাকারই কথা। তাহলে পৃথিবীর ভূত্বকে লেগে থাকা কিংবা আটকে থাকার রহস্য কী?
বিজ্ঞানীদের দাবীঃ এমন প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর কখনও এই বিশ্বে পাওয়া যাওয়ার কথা নয়। বিজ্ঞানীরা এমন অবস্থার সম্মুখীন হয়েছেন যাতে পদার্থ বিজ্নানের সূত্র ভেঙ্গে পড়ে।
اِنَّ اللّٰهَ لَذُوۡ فَضۡلٍ عَلَی النَّاسِ وَ لٰکِنَّ اَکۡثَرَ النَّاسِ لَا یَشۡکُرُوۡنَ ﴿۲۴۳
নিশ্চয় আল্লাহ তো মানুষের উপর অনুগ্রহশীল। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ শুকরিয়া আদায় করে না। ২:২৪৩ আল-বায়ান
قُلۡ لِّمَنۡ مَّا فِی السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضِ ؕ قُلۡ لِّلّٰهِ ؕ کَتَبَ عَلٰی نَفۡسِهِ الرَّحۡمَۃَ ؕ ﴿۱۲﴾
বল, আসমানে আর যমীনে যা আছে তা কার? বল, আল্লাহরই। দয়া করা তিনি তাঁর জন্য কর্তব্য স্থির করে নিয়েছেন। ৬:১২ তাইসিরুল
مَا یَفۡتَحِ اللّٰهُ لِلنَّاسِ مِنۡ رَّحۡمَۃٍ فَلَا مُمۡسِکَ لَهَا ۚ وَ مَا یُمۡسِکۡ ۙ فَلَا مُرۡسِلَ لَهٗ مِنۡۢ بَعۡدِهٖ ؕ وَ هُوَ الۡعَزِیۡزُ الۡحَکِیۡمُ ﴿۲﴾
আল্লাহ মানুষের জন্য যে রহমত উন্মুক্ত করে দেন তা আটকে রাখার কেউ নেই। আর তিনি যা আটকে রাখেন, তারপর তা ছাড়াবার কেউ নেই। আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। ৩৫:২ আল-বায়ান
وَ رَحۡمَتِیۡ وَسِعَتۡ کُلَّ شَیۡءٍ
আর আমার রহমত সব বস্তুকে পরিব্যাপ্ত করেছে। ৭:১৫৬ আল-বায়ান
اَنۡتَ اَرۡحَمُ الرّٰحِمِیۡنَ ﴿۱۵۱
আর আপনিই রহমকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। ৭:১৫১ আল-বায়ান
وَ مِنۡ اٰیٰتِهٖۤ اَنۡ یُّرۡسِلَ الرِّیَاحَ مُبَشِّرٰتٍ وَّ لِیُذِیۡقَکُمۡ مِّنۡ رَّحۡمَتِهٖ وَ لِتَجۡرِیَ الۡفُلۡکُ بِاَمۡرِهٖ وَ لِتَبۡتَغُوۡا مِنۡ فَضۡلِهٖ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۴۶
আর তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে, তিনি বাতাস প্রেরণ করেন [বৃষ্টির] সুসংবাদ বহনকারী হিসেবে এবং যাতে তিনি তোমাদেরকে তাঁর রহমত আস্বাদন করাতে পারেন এবং যাতে তাঁর নির্দেশে নৌযানগুলো চলাচল করে, আর যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ থেকে কিছু সন্ধান করতে পার। আর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হও। ৩০:৪৬ আল-বায়ান
فَانۡظُرۡ اِلٰۤی اٰثٰرِ رَحۡمَتِ اللّٰهِ کَیۡفَ یُحۡیِ الۡاَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِهَا ؕ اِنَّ ذٰلِکَ لَمُحۡیِ الۡمَوۡتٰی ۚ وَ هُوَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۵۰﴾
অতএব তুমি আল্লাহর রহমতের চিহ্নসমূহের প্রতি দৃষ্টি দাও। কিভাবে তিনি যমীনের মৃত্যুর পর তা জীবিত করেন। নিশ্চয় এভাবেই তিনি মৃতকে জীবিত করেন এবং তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান। ৩০:৫০ আল-বায়ান
وَ هَبۡ لَنَا مِنۡ لَّدُنۡکَ رَحۡمَۃً ۚ اِنَّکَ اَنۡتَ الۡوَهَّابُ ﴿۸
এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। ৩:৮ আল-বায়ান
فَاَمَّا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ فَیُدۡخِلُهُمۡ رَبُّهُمۡ فِیۡ رَحۡمَتِهٖ ؕ ذٰلِکَ هُوَ الۡفَوۡزُ الۡمُبِیۡنُ ﴿۳۰﴾
IRRSTC FINAL REPORT 1445 (BENGLA)insha Allah
IRRSTC FINAL REPORT 1445 (BENGLA)insha Allah মহাবিশ্ব কীভাবে এলো? সৃষ্টিতত্ত্বে মহান আল্লাহর কুদরাতি ইচ্ছা প্রকাশ إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا “তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, "Verily, when He intends A thing," (Source:https://quranyusufali.com/36/) কুন (হয়ে যাও): সৃষ্টিতত্ত্বে মহান আল্লাহর কুদরাতি আদেশ ٨٢- أَن يَقُولَ لَهُ كُن ◯ তখন তাকে কেবল বলে দেন ‘হও’ "His Command is, “ Be!" (Source:https://quranyusufali.com/36/) فَيَكُونُ তখনই তা হয়ে যায়” । (সূরা ইয়া-সী-ন) "And it is !" (Source:https://quranyusufali.com/36/) কুন (হয়ে যাও): মহান আল্লাহর কুদরাতি এই আদেশكُن যা হওয়ার কথাঃ ٣٠- أَوَلَمْ يَرَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَنَّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَاهُمَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمَاءِ كُلَّ شَيْءٍ حَيٍّ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ ◯ "যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল*, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, আর আমি সকল প্রাণবান জিনিসকে পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না?" আল-বায়ান "Do not the Unbelievers see That the Skies and the Earth Were joined together (as one Unit of Creation), before We clove them asunder? We made from water Every living thing. Will they Not then believe?" (Source: Sūra 21: Anbiyāa, or The Prophets, Ayat: 30, Verses 112 — Makki; Revealed at Makka — Sections 7, https://quranyusufali.com/21/) ইসলামী সৃষ্টিতত্ত্বের স্বরূপ “বিশ্ব বলিতে পূর্বে কিছুই ছিলনা”। (ফাতওয়ায়ে সিদ্দিকীন, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ৭৪, কুরআন হাদীস রিসার্চ সেন্টার (ফুরফুরা দরবারের গবেষণা প্রতিষ্ঠান), প্রকাশনায়ঃ ইশায়াতে ইসলাম, কুতুবখানা, মার্কাজে ইশায়াতে ইসলাম, ২/২, দারুস সালাম, মীরপুর, ঢাকা-১২১৬), প্রকাশকালঃ সাবান-১৪২০হিজরি, নভেম্বর ১৯৯৯ ঈসায়ী “গোটা সৃষ্টিকূলের মধ্যে আল্লাহ তাআলার কুন ফাইয়া কুনের তাজাল্লীই বিরাজমান” (প্রাগুক্ত পৃঃ ৩৮)। “আসমান-যমীন, আরশ কুরসী লাওহ-কলম, গাছ পালা, বৃক্ষ লতা, এক কথায় দৃশ্যমান ও অদৃশ্য যত কিছু রয়েছে “সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ” (প্রাগুক্ত পৃঃ ৩৩)। “আল্লাহ তায়ালা সমস্ত বস্তুকে পূর্ব উপাদান ব্যতীত সৃষ্টি করেছেন” (প্রাগুক্ত পৃঃ ১৬২)। (আল্লাহপাক) “বিশেষ মুছলেহাতের কারণে প্রথমে বিনা উপাদানে উপকরণে সৃষ্টি করে, সেই সব উপাদানের মাধ্যমে বিভিন্ন বস্তু সৃষ্টি করার ব্যবস্থা চালু করেছেন”(সূত্রঃ ফাতাওয়ায়ে সিদ্দিকীন, ১-৪ খন্ড, পৃষ্ঠা ১৬৩) উল্লেখ্য, এক সময় কেবলই আল্লাহ (ﺎﻠﻠﻪ) আর আল্লাহ-ই ছিলেন। মহান আল্লাহ ব্যতিত সৃষ্টি (ﻣﺨﻟﻖ) সত্বার কোন অস্তিত্ব কখনই ছিল না। কোন এক মহাসন্ধিক্ষণে আল্লাহপাক তাঁর কুদরতি এক মহাপরিকল্পনার (Master Plan) অধীনে ‘কুন’ হয়ে যাও‘’- এই কুদরতি আদেশ বা হুকুমবলে সম্পূর্ণ ‘নাই’ (Nil/Zero) থেকে কোন প্রকার জাগতিক তত্ত্ব, তথ্য, উপাত্ত, সূত্র, আইন-কানুন, বিধি-বিধান থেকে সম্পূর্ণ পুতঃপবিত্র (সুবহান) এবং অনির্ভরশীল(স্বমাদ) হয়ে সৃষ্টি করলেন এক মহাসৃষ্টি সত্বা (Great Creation) বা ﻣﺨﻟﻖ)-যাতে সম্মিলিতভাবে (Combined) নিহিত ছিল আকাশ/মহাকাশ[(ﺍﻠﺴﺎﻮﺍﺕ)( (Sky)] ও জমিন [ﻼﻠﺭﺽ Earth (পৃথিবী) আবার কোন এক বিশেষ মুহুর্তে তা পৃথক করে আজকের আসমান ও জমিন-এই দু’টি পৃথক পৃথক সত্বা সৃষ্টি করেছেন। শক্তি “আমি আকাশমন্ডল সৃষ্টি করেছি আমার শক্তি বলে এবং আমিই মহাসম্প্রসারণকারী। (৫১.৪৭)। "With power and skill Did We construct The Firmament : For it is We Who create The vastness of Space". (https://quranyusufali.com/51/)
জেনে রেখো, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ প্রদান করা, আল্লাহ বরকতময় জগতসমূহের প্রতিপালক। (সূরা আল আ’রাফ ৭ : আয়াত ৫৪) তিনিই সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্ররাজি, যা তারই আদেশের আওতাধীন (সূরা আল আ’রাফ ৭ : আয়াত ৫৪) শক্তি “আমি আকাশমন্ডল সৃষ্টি করেছি আমার শক্তি বলে এবং আমিই মহাসম্প্রসারণকারী। (৫১.৪৭)। "With power and skill Did We construct The Firmament : For it is We Who create The vastness of Space". (https://quranyusufali.com/51/) أَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّـهِ جَمِيعًا وَأَنَّ اللَّـهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ ◯ "ইন্নাল কুওয়্যাতা লিল্লাহি জামিয়া"। অর্থ: নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ সকল ক্ষমতার মালিক। - সূরা বাকারা, আয়াত: ১৬৫। (Sūra 2: Baqara, or the Heifer,Ayat:165,Verses 286 — Madani; Revealed at Madina — Sections 40,https://quranyusufali.com/2/). وَلا حَوْلَ وَلا قُوَّةَ إِلا بِاللَّهِ উচ্চারণ : ওয়ালা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ। -(বুখারি, ১০৮৯) ‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ভরসা নেই; কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই।’ (বুখারি)
পবিত্র কুরআন-হাদিসের আলোকে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
হাদিসের আলোকে দোয়া-কালামের ওজন/ভর প্রসঙ্গে
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يَمُوتُ وَهُوَ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
دَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ لَيْثِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَعَافِرِيِّ، ثُمَّ الْحُبُلِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ سَيُخَلِّصُ رَجُلاً مِنْ أُمَّتِي عَلَى رُءُوسِ الْخَلاَئِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَنْشُرُ عَلَيْهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ سِجِلاًّ كُلُّ سِجِلٍّ مِثْلُ مَدِّ الْبَصَرِ ثُمَّ يَقُولُ أَتُنْكِرُ مِنْ هَذَا شَيْئًا أَظَلَمَكَ كَتَبَتِي الْحَافِظُونَ فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ . فَيَقُولُ أَفَلَكَ عُذْرٌ فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ . فَيَقُولُ بَلَى إِنَّ لَكَ عِنْدَنَا حَسَنَةً فَإِنَّهُ لاَ ظُلْمَ عَلَيْكَ الْيَوْمَ فَتَخْرُجُ بِطَاقَةٌ فِيهَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ فَيَقُولُ احْضُرْ وَزْنَكَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ مَا هَذِهِ الْبِطَاقَةُ مَعَ هَذِهِ السِّجِلاَّتِ فَقَالَ إِنَّكَ لاَ تُظْلَمُ . قَالَ فَتُوضَعُ السِّجِلاَّتُ فِي كِفَّةٍ وَالْبِطَاقَةُ فِي كِفَّةٍ فَطَاشَتِ السِّجِلاَّتُ وَثَقُلَتِ الْبِطَاقَةُ فَلاَ يَثْقُلُ مَعَ اسْمِ اللَّهِ شَيْءٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . وَالْبِطَاقَةُ هِيَ الْقِطْعَةُ .
বান্দার আমলনামা ওজন করা হবে তার প্রমাণ- হাদিসে এসেছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৭. "আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্ৰভু নেই" এই সাক্ষ্যে অটল থেকে যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেঃ
২৬৩৯। আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ তা’আলা কিয়ামত দিবসে আমার উম্মতের একজনকে সমস্ত সৃষ্টির সামনে আলাদা করে এনে উপস্থিত করবেন। তিনি তার সামনে নিরানব্বইটি আমলনামার খাতা খুলে ধরবেন। প্রতিটি খাতা দৃষ্টির সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। তারপর তিনি প্রশ্ন করবেন, তুমি কি এগুলো হতে কোন একটি (গুনাহ) অস্বীকার করতে পার? আমার লেখক ফেরেশতারা কি তোমার উপর যুলুম করেছে? সে বলবে, না, হে প্ৰভু!
তিনি আবার প্রশ্ন করবেনঃ তোমার কোন অভিযোগ আছে কি? সে বলবে, না, হে আমার প্রভু! তিনি বলবেনঃ আমার নিকট তোমার একটি সাওয়াব আছে। আজ তোমার উপর এতটুকু যুলুমও করা হবে না। তখন ছোট একটি কাগজের টুকরা বের করা হবে। তাতে লিখা থাকবেঃ “আমি সাক্ষ্য প্রদান করে যে, আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত আর কোন প্রভু নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল"।
তিনি তাকে বলবেনঃ দাড়িপাল্লার সামনে যাও। সে বলবে, হে প্ৰভু! এতগুলো খাতার বিপরীতে এই সামান্য কাগজটুকুর কি আর ওজন হবে? তিনি বলবেনঃ তোমার উপর কোন রকম যুলুম করা হবে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তারপর খাতাগুলো এক পাল্লায় রাখা হবে এবং উক্ত টুকরাটি আরেক পাল্লায় রাখা হবে। ওজনে খাতাগুলোর পাল্লা হালকা হবে এবং কাগজের টুকরার পাল্লা ভারী হবে। আর আল্লাহ তা’আলার নামের বিপরীতে কোন কিছুই ভারী হতে পারে না।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৪৩০০),আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত), ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ)
৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত) ৩৮/ ঈমান (كتاب الإيمان عن رسول الله ﷺ), https://www.hadithbd.com/hadith/filter/?book=19&hadith=%28তিরমিজি+২৬৩৯সহি
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {وَنَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ} وَأَنَّ أَعْمَالَ بَنِي آدَمَ وَقَوْلَهُمْ يُوزَنُ وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْقُسْطَاسُ الْعَدْلُ بِالرُّومِيَّةِ وَيُقَالُ الْقِسْطُ مَصْدَرُ الْمُقْسِطِ وَهُوَ الْعَادِلُ وَأَمَّا الْقَاسِطُ فَهُوَ الْجَائِرُ
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِشْكَابٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ الْقَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " كَلِمَتَانِ حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ، خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ، ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ
৭০৫৩। আহমাদ ইবনু আশকাব (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুটি কলেমা (বানী) রয়েছে, যেগুলো দয়াময় আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়, উচ্চারণে খুবই সহজ (আমলের) পাল্লায় অত্যন্ত ভারী। (বাণী দু’টি হচ্ছে), "সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহান্নাল্লাহিল আযীম" আমরা আল্লাহ তায়ালার প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, মহান আল্লাহ অতীব পবিত্র।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ৮৬/ জাহ্মিয়াদের মতের খণ্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ (كتاب الرد على الجهمية و غيرهمو التوحيد), ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদিস নাম্বারঃ ৭০৫৩, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৭৫৬৩)
https://www.hadithbd.com/hadith/filter/?book=1&hadith=%28বুখারি+৭৫৬৩
পবিত্র হাদিসের আলোকে দোয়া-কালামের শক্তির (এনার্জি) স্বরূপ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، سَمِعْتُ ابْنَ أَبِي لَيْلَى، قَالَ حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، أَنَّ فَاطِمَةَ، عَلَيْهَا السَّلاَمُ شَكَتْ مَا تَلْقَى مِنْ أَثَرِ الرَّحَا، فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَبْىٌ، فَانْطَلَقَتْ فَلَمْ تَجِدْهُ، فَوَجَدَتْ عَائِشَةَ، فَأَخْبَرَتْهَا، فَلَمَّا جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ بِمَجِيءِ فَاطِمَةَ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَيْنَا، وَقَدْ أَخَذْنَا مَضَاجِعَنَا، فَذَهَبْتُ لأَقُومَ فَقَالَ " عَلَى مَكَانِكُمَا ". فَقَعَدَ بَيْنَنَا حَتَّى وَجَدْتُ بَرْدَ قَدَمَيْهِ عَلَى صَدْرِي وَقَالَ " أَلاَ أُعَلِّمُكُمَا خَيْرًا مِمَّا سَأَلْتُمَانِي إِذَا أَخَذْتُمَا مَضَاجِعَكُمَا تُكَبِّرَا أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ، وَتُسَبِّحَا ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، وَتَحْمَدَا ثَلاَثَةً وَثَلاَثِينَ، فَهْوَ خَيْرٌ لَكُمَا مِنْ خَادِمٍ ".
পরিচ্ছেদঃ ২০৮৮. আবু হাসান আলী ইবন আবু তালিব কুরায়শী হাশিমী (রাঃ) এর মর্যাদা নবী করীম (সাঃ) আলী (রাঃ) কে বলেছেন, তুমি আমার ঘনিষ্ঠ আপনজন আমি তোমার একান্ত শ্রদ্ধাভাজন। উমর (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ওফাত পর্যন্ত তার উপর সন্তুষ্ট ছিলেন।
৩৪৪০। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ফাতিমা (রাঃ) যাঁতা চালানোর কষ্ট সম্পর্কে একদিন (আমার নিকট) প্রকাশ করলেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু সংখ্যক যুদ্ধবন্দী আসল। ফাতিমা (রাঃ) (এক জন গোলাম পাওয়ার আশা নিয়ে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে গেলেন। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে, আয়িশা (রাঃ) এর কাছে তাঁর কথা বলে আসলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘরে আসলেন তখন ফাতিমা (রাঃ) এর আগমন ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আয়িশা (রাঃ) তাঁকে অবহিত করলেন। (আলী (রাঃ) বলেন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এখানে আসলেন, যখন আমরা বিছানায় শুয়ে পড়েছিলাম। তাঁকে দেখে আমি উঠে বসতে চাইলাম। কিন্তু তিনি বললেন, তোমরা নিজ নিজ অবস্থায় থাক এবং তিনি আমাদের মাঝখানে এমনভাবে বসে পড়লেন যে আমি তাঁর পদদ্বয়ের শীতলতা আমার বক্ষে অনুভব করলাম। তিনি বললেন, আমি কি তোমরা যা চেয়েছিলে তার চেয়েও উত্তম জিনিস শিক্ষা দিবনা? (তা হল) তোমরা যখন ঘুমানোর উদ্দেশ্যে বিছানায় যাবে তখন চৌত্রিশ বার "আল্লাহু আকবার" তেত্রিশবার "সুবহানাল্লাহ" তেত্রিশবার "আল্ হামদুলিল্লাহ" পড়ে নিবে। এটা খাদিম (যা তোমরা চেয়েছিলে) অপেক্ষা অনেক উত্তম।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদীস নাম্বারঃ ৩৪৪০, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৩৭০৫, পরিচ্ছেদঃ ২০৮৮। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫০/ আম্বিয়া কিরাম (আঃ) (كتاب أحاديث الأنبياء
https://www.hadithbd.com/hadith/filter/?book=1&hadith=বুখারি+হাদিস+%3A+৩৪৪০
https://www.facebook.com/beautifulislambd/videos/tasbih-fatemi/1670264829705841/
Comments
Post a Comment