STRING THEORY AND THE HOLY ISLAM

 STRING THEORY AND THE HOLY ISLAM

٧- وَالسَّمَاءِ ذَاتِ الْحُبُكِ

By the Sky With (its) numerous Paths,

(Source: Sūra 51: Zāriyāt, or the Winds that Scatter, Ayat: 7,Verses 60 Makki; Revealed at Makka Sections 3, https://quranyusufali.com/51/)

হুবুকحُبُك শব্দের বহুবচন “হাবিকাহحَبِيكَة এবং হাবকাহ حَبكَة”, হাবখ حَبك (অসীম) অর্থটি "পোশাক, ক্রোশেট, বুনন...ব্যবহারের সাথে যুক্ত:  حَبَكthe garment = তিনি পোশাক বুনেন। অতএব, হুবুক حُبُك অর্থঃ বুনন, টেক্সচার।

কুরআনে, আকাশকে বর্ণনা করা হয়েছে: (তার) হুবুক সহ আকাশ ” وَالسَّمَاءِ ذَاتِ الْحُبُكِ” (সূরা আদ-দারিয়ত আয়াত ৭), মহান কুরআনের ব্যাখ্যায় ইবনে কাছীর ১৩তম, এর তিনটি অর্থ একত্রিত করে। এই শব্দটি: তারার সাথে আকাশ, ঘন জমিনের মতো আকাশ, ঘন পোশাক, পথ সহ আকাশ।

মহাজাগতিক তার (Cosmic string)

বর্তমান বিজ্ঞানে ‘Cosmic String' তথা মহাজাগতিক তার (স্ট্রিং) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যা খুবই উচ্চ পর্যায়ের জ্ঞান সমৃদ্ধ।

এ মহাজাগতিক তারগুলো (Cosmic strings) লম্বায় লক্ষ লক্ষ আলােকবর্ষ কিংবা তার চেয়েও বেশি লম্বা। কিন্তু ব্যাস এত সূক্ষ্ম যে কল্পনা করাও বেশ দুরূহ ব্যাপার। গাণিতিকভাবে প্রকাশ করলে দাঁড়ায় ১০-৩৩ cm প্রায়। অর্থাৎ ১ সে.মি. দৈর্ঘ্যকে ১০০ কোটি, কোটি, কোটি কোটি দিয়ে ভাগ করলে যা হবে তার সমান মাত্র। এদের আকৃতি কোথাও কুণ্ডলীর মতো, কোথাও আংটির মতো, কোথাও সর্পিল আবার কোথাও দেখতে কটিবন্ধের মতো । Cosmic strings-এর পদার্থ ভর অকল্পনীয়, বিরাট ও বিশাল, মাত্র কয়েক কিলোমিটার তারের ভর সমগ্র পৃথিবীর ভরের চাইতেও কয়েক গুণ বেশি। এ তারগুলো খুবই শক্তিশালী এবং এদের ঘনত্ব 'ব্ল্যাক হোলের ঘনত্বের চেয়েও বেশি।

বিংশ শতাব্দির ৮০-র দশকে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞান ‘Cosmic String' তথা মহাজাগতিক তার (স্ট্রিং) সম্পর্কিত সৃষ্টিতত্ত্ব উপস্থাপন করে বিশ্বে রীতিমত তাক লাগিয়ে দেয়। Big Bang model গবেষণাকারী বিজ্ঞানগণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে এই মহাজাগতিক তারের উপস্থিতি এবং এ মহাবিশ্বের সৃষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এই তারের যাদুময়ী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে থাকে। 

১৯৮৫ সালে বিজ্ঞানীগণ তথ্য দেন যে এদের ঘনত্ব হলো- 1021gm/c.c, যা কল্পনা করতেও কষ্ট হয়। Cosmic strings' গুলোই নবীন মহাবিশ্বে প্রথম গ্যালাক্সির বীজ বপন করেছিল। তখন নবীন মহাবিশ্ব ধোঁয়ায়/ পরিপূর্ণ ছিলো। ঐ সময় Cosmic strings' ধোঁয়ার মধ্যে আবির্ভূত হয়ে প্রবল মাধ্যাকর্ষণ বলের (Gravity) মাধ্যমে ধোঁয়া, গ্যাস ও ধূলিকণাকে আকর্ষণ করে নিজেদের অভ্যন্তরে জমা করতে থাকে। ফলে এক পর্যায়ে নবীন মহাবিশ্বটি গুচ্ছ গুচ্ছভাবে গ্যাসীয় পদার্থের মেঘখণ্ডরূপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। অতঃপর মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মেঘখণ্ডগুলো আবর্তন শুরু করে এবং দু'মিলিয়ন বছরে প্রােটো-গ্যালাক্সি ও চার মিলিয়ন বছরে পূর্ণ গ্যালাক্সিতে রূপান্তরিত হয়ে মহাবিশ্বের মূল কাঠামোতে পরিণত হয।

বিজ্ঞানীগণ এখনও রেডিও টেলিস্কোপের সাহায্যে কোনো কোনো গ্যালাক্সির কেন্দ্রে Cosmic strings-এর সন্ধান পাচ্ছেন। গ্যালাক্সিগুলো দিকে তাকালে ওদের গঠন অবয়বে Cosmic strings বা মহাজাগতিক তারের স্পষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায় ।

কম্পাঙ্কের সংজ্ঞা

একক সময়ে অর্থাৎ এক সেকেন্ডের মধ্যে যতবার পূর্ণতরঙ্গ সম্পন্ন করে তাকে কম্পাঙ্ক (n) বলা হয়। আর কম্পাঙ্ক ২০ Hz এর কম হয় তবে তাকে শব্দের কম্পন  (Variation) বলে। পক্ষান্তরে যদি কোনো বস্তু প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০ বার কাঁপে তবে সেই বস্তু থেকে উৎপন্ন ধ্বনি-কে শব্দ (Sound)বলা হয়।

(Source:https://bn.quora.com/শব্দের-কম্পাঙ্ক-20-000-Hz-এর-বেশি)

শব্দের ইংরেজি যদি word হয়, তাহলে সেটার অর্থ হচ্ছে একাধিক বর্ণ দিয়ে গঠিত অর্থবহ কোনো কিছু। অন্যদিকে শব্দের ইংরেজি যদি sound হয়, তাহলে সেটার অর্থ হচ্ছে পদার্থের কম্পনের ফলে সৃষ্ট তরঙ্গ। পদার্থের কম্পনের ফলে সৃষ্ট তরঙ্গকে আওয়াজ বলাটা অধিক যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে আবার মানুষ যখন কোনো বাক্য, শব্দ, অক্ষর বা বর্ণ মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে, তখনও কিন্তু কম্পনের ফলে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়! তাই শব্দ (word) ও আওয়াজ (sound) কিছুটা হলেও একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত! অনেকটা একই রকম।সৃষ্টির শুরুতে একটি সাউন্ডের প্রয়োজনীয়তা ছিলো বলে আমাদের ধর্মতত্ব বলে। আমরা জানি আল্লাহ “হও” বললেন আর সমস্তাটাই সৃষ্টি হয়ে গেলেন। তাহলে এখন আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি। সৃষ্টির সময় আল্লার হও বলার আর সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে স্ট্রিং এর কম্পন এর ফলে সৃস্টি হওয়া একটি আওয়াজ এর কি কোন যুক্তিযুক্ত কারন থাকতে পারে? অবশ্যই কারন থাকতে পারে। কারন আল্লার হও বলাটাই সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে একটি মহাজাগতিক মায়া সৃষ্টি করে রেখেছে।যে মায়াটকেই আমরা মহাবিশ্ব রুপে দেখছি।সেই মায়াটাই হলো আমাদের মহাবিশ্ব। মহাবিশ্বকে যদি আমরা মায়া ধরি তাহলে প্রকৃত সত্য কি? প্রকৃত সত্য হলো আল্লা হতে বস্তুর উপাদানের আগমন আল্লাহ হতে শব্দের আগমন। যে শব্দ পরবর্তীতে মহাবিশ্ব রুপে দেখা গেছে।মায়ারুপী মহাবিশ্বের প্রকাশ।

কণা তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানের মতে, মৌলিক কনিকারা হল মাত্রাহীন বিন্দুর মত। জ্যামিতিক ভাষায় বিন্দুর সংজ্ঞা হচ্ছে: “যার দৈর্ঘ্য প্রস্থ ও উচ্চতা নেই তাকেই বিন্দু বলে”। অর্থাৎ যে কণার দৈর্ঘ্য,প্রস্থ ও উচ্চতা নেই , বাস্তবে তার কোন মাত্রাও থাকার কথা নয়।সুতরাং, কণা তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানের মতে, মৌলিক কনিকারা হলো অনুরূপ মাত্রাহীন বিন্দুদের মত পক্ষান্তরে স্ট্রিং থিওরি মতে, মৌলিক কণিকারা মাত্রাহীন বিন্দুর মত নয়, বরং এগুলো হলো একমাত্রিক তারের মত। একটি তারের যেমন শুধু দৈর্ঘ্য আছে; মৌলিক কণারাও ঠিক তেমনি। এ কারণেই এই তত্ত্বের নামও হয়েছে স্ট্রিং থিওরি বা তার-তত্ত্ব।

হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টারের জ্যোতিপদার্থবিদরা দক্ষিণ মেরুতে স্থাপিত টেলিস্কোপের সাহায্যে যে তরঙ্গ প্রবাহের সন্ধান পেয়েছেন, তা ১৪শ' কোটি বছর আগে এই তরঙ্গের উৎপত্তি এবং তরঙ্গটি বিগ ব্যাং-এর প্রথম কম্পন” বলে বর্ণনা করেছেন।

আইনস্টাইনের E=mc² সমীকরণমতে বস্তু ও শক্তি আসলে সমার্থক। (বিজ্ঞান চিন্তা পৃঃ ৪৪)। ...তাই জমে থাকা শক্তিও জমে থাকা বস্তুর মত (পৃঃ ৩৫)। স্ট্রিং থিওরীমতে, প্রাপ্ত কণাগুলো আসলে এক ধরণের সুতার কম্পন যা আমরা কণা (পার্টিকেল) হিসাবে দেখে থাকি।

কম্পাঙ্ক:কোয়ান্টাম শক্তির বাহক

বিদুৎ-চৌম্বকীয় শক্তি নির্গত হয় বিচ্ছিন্ন গুচ্ছ আকারে। এই গুচ্ছেরই নাম কোয়ান্টা যা থেকে কোয়ান্টাম শব্দের বুৎপত্তি। প্রতিটি কোয়ান্টার শক্তি নির্ভর করে শুধুমাত্র এর কম্পাঙ্কের ওপর। এতে প্রতীয়মান যে, কোয়ান্টার শক্তির উৎসমূল কম্পন যা স্ট্রিং থিওরির ভিত কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরি অনুসারে, কোয়ান্টাম ফিল্ডকে প্রচণ্ড শক্তিতে আঘাত করা হলে সেই ফিল্ডে এক ধরনের কম্পন তৈরি হয়। এই কম্পনে সেই ফিল্ডে “কোয়ান্টা” (Quanta) নামক এক প্রকার কণিকা তৈরি হয়- যা বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ যন্ত্রে অতিপারমাণবিক  কণিকা হিসেবে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। অর্থাৎ আমরা যেসব মৌলিক কণিকার কথা বলি, এগুলো মূলত বিভিন্ন কোয়ান্টাম ফিল্ডের কম্পন। ইলেকট্রনের ফিল্ডকে আঘাত করা হলে ইলেকট্রন তৈরি হবে। কোয়ার্ক ফিল্ডে আঘাত করলে কোয়ার্ক তৈরি হবে। ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডে আঘাত করলে আলোর কণিকা ফোটন তৈরি হবে। হিগস ফিল্ড যেহেতু একটি কোয়ান্টাম ফিল্ড, তাই হিগস ফিল্ডকে আঘাত করলেও একটি কণিকা তৈরি হবে। হিগস ফিল্ডের কোয়ান্টাকে আমরা বলি হিগস বোসন (গড'স পার্টিকেল)। 

In this verse the smallest mass is a pluck and in the previous verse the smallest particle is a wick. Both verses are describing the same smallest particle. Today we know what it is, this is a vibrating string.

From String (হুবুক حُبُك) Theory we know that the smallest mass is the mass of a string. The vibration of the string determines its mass. However this was portrayed in the Quran Holy 1400 years before it was discovered. The Quran says that the smallest mass is a pluck.

https://www.miracles-of-quran.com/string_theory.html

So the mass is determined by the vibration of the string. However this was portrayed in the Quran 1400 years before it was discovered. The Quran portrays the smallest particle as a wick.

String Theory

 

In physics, string theory is a theoretical framework in which the point-like particles of particle physics are replaced by one-dimensional objects called strings. It describes how these strings propagate through space and interact with each other. On distance scales larger than the string scale, a string looks just like an ordinary particle, with its mass, charge, and other properties determined by the vibrational state of the string.

 

Wikipedia, String Theory, 2019


কেন সম্ভব নয়?

►বিজ্ঞান বস্তুর চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেছে সেখানে পাওয়া যাচ্ছে পরমানু । পরমানুর মাঝে আছে ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন।প্রোটন ও নিউটন কোয়ার্ক নামের কনিকা দিয়ে গঠিত আর ইলেকট্রন নিজেই একটি কনিকা। যেমন আমরা যদি কোন বস্তু একটি আপেলকে ভেঙ্গে টুকরো করতে থাকি তাহলে একসময় এসে পরমানুতে পৌছাবে । এবার এই পরমাণুকেও যদি আবার ভাঙ্গা হয় তাহলে ইলেকট্রন ও কোয়ার্কের মত মৌলিক কণিকা পাওয়া যাবে; যাদের আর ভাঙ্গা সম্ভব নয়। কেন সম্ভব নয়?

কেন অসম্ভব?

কোন অণু-কণা আলোর গতিতে চলতে পারে না। অসীম ভরের কারণে এই কণার গতি অসীম শক্তি প্রয়োগ ব্যতিত হয়ে যাবে শ্লথ। অসীম শক্তি প্রয়োগ অসম্ভব। কেন অসম্ভব?

মহাবিশ্বটা কত বড়?

মহাবিশ্বটা বড়। অ-নে-ক বড়। ধারণা করা হচ্ছে, মহাবিশ্বের যেকোনো দিকে তাকালে আমরা বড়জোর সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৬০০ কোটি আলোকবর্ষ বা (১,৮৬,০০০x৬০ x ৬০ x২৪ x৩৬৫) বৎসর। সে হিসাবে ১,৮৬,০০০x৬০ x ৬০ x২৪ x৩৬৫ x৪,৬০০০ x১,০০০০০০০০ মাইল দূর পর্যন্ত দেখতে পাই। অর্থাৎ মহাবিশ্বের এই পরিমাণ মাইলেজ দূরত্বের আলো পৃথিবীতে পৌঁছতে সময় লেগেছে কমপক্ষে ১ হাজার ৩৮০ কোটি বছর। এ ধারণাকে বলা যেতে পারে বৈজ্ঞানিক হাইপোথিসি। কারণ প্রকৃতপক্ষে মহাবিশ্বের শেষ সীমানা কোথায় তার হদিস হাবল টেলিস্কোপে পাওয়া যায় নি, জেমস ওয়েবেও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তাই মহাবিশ্বের বিশালতার গাণিতিক এই হিসাবটাও নিছক জ্যোতির্বিদদের অনুমান মাত্র। অন্তত আমাদের পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বটা কত বড়, তা–ও কেউই সঠিক বলতে পারবে না।

এমন এক অসীম সত্বার প্রয়োজন যিনি এক, একক,অদ্বিতীয়,সুবহান (কর্ম সম্পাদনে বৈষয়িক উপাদান-উপকরণের বাধ্যবাধকতা হতে সম্পূর্ণ মুক্ত,পবিত্র এবংসামাদ (বৈষয়িক উপাদান-উপকরণ হতে সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষি, অনির্ভরশীল)।

মহাবিশ্বের বস্ত্তগত কাঠামোর অপূর্ব বিন্যাস এবং এর সুপরিকল্পিত, সুবিজ্ঞ ব্যবস্থাপনা-পরিচালনার কারণে এমন এক সত্বার অস্তিত্ব  যাতে একের পর এক প্রশ্নের যেন চির অবসান ঘটে। কারণ, বিজ্ঞানীদের দাবীঃ এমন প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর এই বিশ্বে নেই। যার কারণে পদার্থবিজ্ঞানে আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে অন্ততঃ দশ প্রশ্নের উত্তর।

কসমোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরিতে বিশ্বের সূচনার একেবারে দোড় গোড়ায় পৌঁছে আটকে আছে এই প্রশ্নেঃ মহাবিশ্ব যদি হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনে মহাবিস্ফোরণের (বিগ ব্যাং) কারণে ঘটে থাকে তাহলে হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনের উদ্ভব কিভাবে? এভাবে উত্তরও থেমে থাকবে না, প্রশ্নও থামবে না, আইনস্টাইনের স্বপ্নিল একীভূতকরণ তত্ত্বও আলোর পথ  দেখবে না।

উল্লেখ্য, বৃটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী বিগব্যাং আর স্ট্রিংথিওরির অন্যতম পথিকৃত স্টিফেন হকিং ২০১১ সালে বলেছিলেনঃমহাবিশ্বের উদ্ভব মহাকর্ষ থেকে। তাতেও প্রশ্ন থেমে ছিল না। প্রশ্ন দেখা দেয়ঃ মহাকর্ষের উদ্ভব কিভাবে? সুতরাং, প্রশ্নের অবসানের মাধ্যমে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার পরিসমাপ্তির জন্য এমন এক অসীম সত্বার প্রয়োজন যিনি এক, একক,অদ্বিতীয়,সুবহান (কর্ম সম্পাদনে বৈষয়িক উপাদান-উপকরণের বাধ্যবাধকতা হতে সম্পূর্ণ মুক্ত,পবিত্র এবংসামাদ (বৈষয়িক উপাদান-উপকরণ হতে সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষি, অনির্ভরশীল)।

 ١- يُسَبِّحُ لِلَّـهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ

1. Whatever is In the Skies and On earth, doth declare The Praises and Glory of Allah,— the Sovereign, The Holy One, the Exalted In Might, the Wise.

(Source: Sūra 62: Jumu’a, or the Assembly (Friday) Prayer, Ayat:1, Verses 11 — Madani; Revealed at Madina — Sections 2, https://quranyusufali.com/62/)

পদার্থবিদ্যার প্রচলিত ধারনা অনুসারে এসব মৌলিক কণিকাদের আমরা মাত্রা-বিহীন বিন্দুর মত ভাবলেও এরা আসলে বিন্দু নয়, আমাদের দৃষ্টির সীমাবদ্ধতার কারণে এদেরকে আমরা বিন্দু হিসেবে দেখি ।যদি এদেরকে কোন সুপার মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে বহুগুণে বিবর্ধিত করা সম্ভব হয় (প্রায় বিলিয়ন বিলিয়ন গুন বেশি) তাহলে আমরা এদেরকে একমাত্রিক লম্বা তার আকারে দেখব ।এগুলো একধরনের অতি ক্ষুদ্র তন্তু (স্ট্রিং) ছাড়া আর কিছু না।

এই তন্তুর বিভিন্ন ধরনের কম্পনের ফলে ভিন্ন ভিন্ন কণার উৎপত্তি হয়।এই ক্ষুদ্র ১০^-৩৩ সে.মি. তারগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এদের কম্পনের ধরন ।প্রতিটি মৌলিক কণা একটি স্ট্রিং দিয়ে গঠিত অর্থাৎ প্রতিটি মৌলিক কণা বিভিন্ন রকম আচরণ করে। তাদের স্ট্রিংগুলোর কম্পনের ধরন ভিন্ন ভিন্ন (Different resonant vibrational pattern) ।প্রকৃতিতে ৬০ টির মতো মৌলিক কণার একমাত্র মৌলিক সত্তা হলো স্ট্রিং যা থেকেই মহাবিশ্বের সকল বস্তু ও শক্তির সৃষ্টি হয়েছে বলেই আধুনিক বিজ্ঞানের স্ট্রিং থিওরি ঘোষণা দেয়।

এসব তারে ব্যাসার্ধ ও কম্পাংকের ভিন্নতার কারণেই বিভিন্ন রকম আকার-প্রকার বৈশিষ্ট্যের মৌলিক কনিকা তৈরী হচ্ছে এবং তারের কম্পনের পার্থক্যই এদের আধান, ভর নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা যখন প্রথমবারের মতো স্ট্রিংগুলোর আচরণ নিয়ে গবেষণা করছিলেন তখন দেখতে পেলেন, স্থান-কালের মধ্যে স্ট্রিংগুলো ইচ্ছা মতো চলাফেরা করতে পারে না। বরং সুনির্দিষ্ট কিছু গাণিতিক নিয়ম মেনে এরা স্থান-কালের মধ্যে কিছুর জটিল গতির সৃষ্টি করে। স্ট্রিংগুলোর এসব গতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তো বিজ্ঞানীদের চোখ একেবারে কপালে।প্রতিটি কনা কোন না কোন শব্দ বা আওয়াজ করছে। সেই হিসেব যদি আমরা করি তাহনে মহাজাগতিক সকল বস্তুর সকল কনার সম্মিলিত একটি বক্তব্য বা আওয়াজ আছে। যার অর্থ দাড়ায় মহাবিশ্বের সকল বস্তু সম্মিলিতভাবে একটি শব্দ উচ্চারণ করছে। তবে কি সেটি ধর্ম তত্ত্বের সেই প্রচলিত স্রষ্টার কন্ঠস্বরঃ2

١- يُسَبِّحُ لِلَّـهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ الْمَلِكِ الْقُدُّوسِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ

Whatever is In the Skies and On earth, doth declare The Praises and Glory of Allah,— the Sovereign, The Holy One, the Exalted In Might, the Wise.

(Source: Sūra 62: Jumu’a, or the Assembly (Friday) Prayer, Ayat:1, Verses 11 — Madani; Revealed at Madina — Sections 2, https://quranyusufali.com/62/)  

٨٢- إِنَّمَا أَمْرُهُ إِذَا أَرَادَ شَيْئًا أَن يَقُولَ لَهُ كُن فَيَكُونُ

Verily, when He intends A thing, His Command is, “ Be ”, and it is !

(Sources: i)Sūra 36: Yā-Sīn (being Abbreviated Letters) Ayat:  82, Verses 83 — Makki; Revealed at Makka — Sections 5, ii) https://quranyusufali.com/36/


স্ট্রিং থিওরির প্রকারভেদঃ

মৌলিক কনাগুলোকে তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মুলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। ক) এক শ্রেনির নাম বোসন খ) আরেক শ্রেনির নাম ফার্মিওন। প্রথম দিকে যে স্ট্রিং থিওরি গঠন করা হয় তাকে বলা হত বোসনিক স্ট্রিং থিওরি।

"মহাবিশ্বের সার্বিক কাঠামোর ব্যাখ্যা করতে, ব্ল্যাক হোলের রহস্য ভেদ করতে কিংবা পদার্থ বিজ্ঞানের সার্বিক একটা তত্ত্বে পৌঁছাতে হলে কোয়ান্টাম মহাকর্ষ তত্ত্ব জরুরী হয়ে পড়েছে। এই তত্ত্ব ব্যাখ্যা করার জন্য অনেক তত্ত্বের জন্ম হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সফল তত্ত্বটি হলো স্ট্রিং তত্ত।....মহাবিশ্বের প্রায় সব অমীমাংসিত বিষয়গুলো তাত্ত্বিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে কেবল স্ট্রিং তত্ত্বই। তাই এই তত্ত্বই হতে চলেছে আগামী দিনের পদার্থ বিজ্ঞানে এর মূল অনুষঙ্গ।" (অশোক সেন, গবেষক, অধ্যাপক, হরিশচন্দ্র রিসার্চ সেন্টার, ভারত)।

সুপারস্ট্রিং থিওরি

গোড়ার দিকে এই থিওরি কেবল বোসন কণা নিয়েই আলোচনা করত। পরবর্তীতে পদার্থবিজ্ঞানীরা ভিন্ন ধরনের এই মৌলিক কনিকাদের মধ্যে এক ধরনের তাত্ত্বিক সাদৃশিক যোগ সূত্র আবিস্কার করেন। এই দুই ভিন্ন ধরনের কনিকাদের মধ্যে এই তাত্ত্বিক সাদৃশ্যের নাম দেওয়া হয় সুপারসিমেট্রি। পরে এই সুপারসিমেট্রির ধারনাকে স্ট্রিং থিওরিস্টরা তাদের তত্ত্ব গঠনে ব্যবহার করেন। এই নতুন প্রবর্তিত স্ট্রিং থিয়োরির নাম দেওয়া হয় সুপারস্ট্রিং স্ট্রিং তত্ত্ব (SUPER STRING THEORY).

১১ মাত্রার স্ট্রিং তত্ত্ব

প্রাথমিক পর্যায়ে বোসন কনিকারা শুধু শক্তির কনিকা বলে পরিচিত ছিল। পরবর্তিতে বিজ্ঞানীরা বোসন আর ফার্মীওনের মধ্যে একটি যোগসূত্র আবিস্কার করেন যেটি সুপারসিমেট্রি নামে পরিচিত। সুপারসিমেট্রি ব্যাবহার করে বোসন আর ফার্মিওন এই দুই ধরনের কনিকাদের আচরণই ব্যাখ্যা করা যায়। এতে সুপারসিমেট্রি ও অতিরিক্ত মাত্রার ধারনা সংযুক্ত করে একগুচ্ছ তত্ত্ব তৈরি করা হয়। স্ট্রিং থিওরির এই গুচ্ছ তত্ত্বটিকে ১১ মাত্রার স্ট্রিং তত্ত্ব বলা হয়।

এম-থিওরি তত্ত্ব

এম-থিওরি নামক এই তত্ত্ব গ্রাভিটিসহ সকল মৌলিক বল ও এদের মিথস্ক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করতে পারে, তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা, এটি আমাদের মহাবিশ্বকে সঠিকভাবে বর্ণনা করতে পারবে এবং সবকিছুর তত্ত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

স্ট্রিং থিওরিতে তিনের অধিক স্থানিক মাত্রার ধারণাঃ 

যদিও স্ট্রিং থিওরি এখন বোসন ও ফার্মিওন দুই শ্রেনির কনিকাদের আচরণ নিয়েই কাজ করতে পারছে কিন্তু সুপারস্ট্রিং থিয়োরির জন্য গনিত গঠন করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখতে পেলেন যে,সুপারস্ট্রিংয়ে কতগুলো অতিরিক্ত মাত্রার দরকার। আমরা আমাদের স্থানের মাত্র তিনটি মাত্রাকে দেখতে পারি, কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানীরা উপলদ্ধি করলেন যে, এই তত্ত্বের গাণিতিক ভিত্তির গঠন করতে গেলে তাদেরকে আরও কয়েকটি অতিরিক্ত মাত্রা আছে বলে ধরে নিতে হচ্ছে। অর্থাৎ এই তত্ত্বমতে, আমরা যদিও এই অতিরিক্ত মাত্রাগুলোকে দেখাতে পাচ্ছি না বা কোন পরীক্ষার দ্বারা এদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতেও পারছি না, কিন্তু আমারদের স্ট্রিং থিয়োরির গনিত দাবী করছে যে, কয়েকটি অতিরিক্ত মাত্রা রয়েছে। এই তত্ত্বের মতে, অতিরিক্ত স্থানিক মাত্রাগুলো স্থানের খুব সংকীর্ণ জায়গায় জড়িয়ে-পেচিয়ে আছে, তাই আমরা তাদেরকে দেখতে পাই না।

যে কোনো বস্তু পদার্থকে যেমন দ্বিখন্ডিতকরণ থেকে শুরু করে চূর্ণবিচূর্ণ পাউডার করে স্বচক্ষে তা দেখা সম্ভব, এই পাউডারকে আরও ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র-সূক্ষ্ণাতি সূক্ষ্ণ করলে দূরবীন, অনুবীক্ষণ, মাইক্রোস্কোপ দ্বারা দেখা সম্ভব পর যার সর্বনিম্নমাত্রা ১০-১৭ সেন্টিমিটার। স্ট্রিংয়ের মাত্রা ১০-৩৩ সেন্টিমিটার। এ মাত্রার মাইক্রোস্কোপ বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। আইনস্টাইনের সূত্র মতে, পদার্থের পরম পরিণতে ঘটে সিঙ্গুলারিটি বা পরম বিন্দু। স্ট্রিং থিওরি মতে পরম বিন্দু নয় পরম স্ট্রিং বা পরম তার বা তন্ত্ত (কটন/ওয়্যার)।

পুরো আকাশটা যেন আস্ত একটা মহা গোলক বিশেষ।

আকাশে এমন বিরাট বিশাল তারা/নক্ষত্র রয়েছে যা অতি দূরবর্তীতার কারণে অতি ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র প্রতীয়মান হচ্ছে।, পৃথিবীর চাইতে সূর্য বড়। দূরত্বের প্রভেদের কারণে গ্রহণের সময় ৩টাকেই একই সমান আয়তনের বড় আকারের বিন্দুর মতো দেখায় যদিও চাঁদের চাইতে পৃথিবীর চাইতে চাঁদ ছোট, সূর্যের চাইতে পৃথিবী ছোট, আবার এমন বিশাল নক্ষত্র আছে সে তুলনায় সূর্য অনেক ছোট।সৌরজগতের তুলনায় মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি অনেক ছোট বা বিন্দু সম। স্ট্রিং থিওরিতে রয়েছে বহুমাত্রিক অন্ততঃ এগারো মাত্রিক মহাবিশ্বের ধারণা।

পবিত্র ইসলামে রয়েছে ৭ আকাশ ৭ জমিন বিশিষ্ট মহা বিশ্বের ধারণা। এতে সর্ব ক্ষুদ্রাতির আকাশ বা বিশ্ব ধরা হয় পৃথিবীতে অবস্থিত প্রথম আকাশকে যাকে বলা হয় সামায়াদ্দুনিয়া অর্থাৎ “পৃথিবীর আকাশ” - যা সপ্তাকাশের সর্বনিম্নে অবস্থিত “প্রথম আকাশ”- যা “দ্বিতীয় আকাশের” চাইতে অনেক ছোট; আবার “তৃতীয় আকাশের” চাইতে “দ্বিতীয় আকাশ” অনেক ছোট; “চতুর্থ আকাশের” চেয়ে “তৃতীয় আকাশ” অনেক ছোট; “পন্চম আকাশের” চেয়ে “চতুর্থ আকাশ” অনেক ছোট; “ষষ্ঠ আকাশের” চেয়ে “পন্চম আকাশ” অনেক ছোট; “সপ্তম আকাশের” চেয়ে “ষষ্ঠ আকাশ” অনেক ছোট অর্থাৎ সপ্তাকাশ মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় আকাশ যার একক নাম আলামীন। এই সপ্তাকাশ বা আলামীন-কে বিন্দু বা স্ট্রিংয়ে পরিণত করতে হলে আমাদের যেতে হবে ৮ম মাত্রার বিশ্বের ধারণায়- যা ইসলামী বিশ্বাসে পাওয়া যায়। বিশ্বাসটি হচ্ছে “কুরশি”- যা সপ্তাকাশকে পরিবেষ্টন করে আছে । সর্বশেষ আরেকটি ধারণা রয়েছে যাকে বলা হয় “আ’রশ”। তা সবকিছুকে পরিবেস্টন করে আছে অর্থাৎ সব কিছু আরশের তুলনায় বিন্দু বা স্ট্রিং। যদি কখনও বাস্তবে না হলে সায়েন্স ফিকশনের মত কল্পনার ওয়ার্মহোল, র ্যাপ ড্রাইভ নামক নভোকল্প তরীতে আরশে পৌঁছা যেতো তাহলে অনুভব করা যেত যে, সপ্তাকাশ তথা সমগ্র মহাবিশ্ব কত ছোট বিন্দুতে বা স্ট্রিংয়ে দাঁড়িয়ে আছে! কথিত আছে, এক বুজুর্গ বান্দা আনোয়ারে ইয়াকীন বা বিশ্বাসের আলোতে ভর করে মহাবিশ্ব দর্শন করে বলেছিলেন, হে আমার প্রভূ আপনার জগত এত ছোট!

স্ট্রিং থিওরীর মূল লক্ষ্যঃ

স্ট্রিংগুলোর কোয়ান্টাম অবস্থা ও বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে প্রকৃতিতে বিদ্যমান সকল মৌলিক কনিকার আচরণ ব্যাখ্যা করা স্ট্রিং থিওরীর মূল লক্ষ্য।

গানিতিক মডেলের সাহায্যে স্ট্রিং থিওরি প্রকৃতিতে বিদ্যমান চারটি মৌলিক বল, সকল প্রকার শক্তি ও পদার্থের যেকোনো অবস্থাকে ব্যাখ্যা করতে পারে।

উল্লেখ্য, খুব উচ্চশক্তির পার্টিকেলগুলোর বিস্ফোরণ ঘটালে স্ট্রিংগুলোর কাঠামো দেখতে পাওয়া যাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবতা হলো এ কাঠামো দেখার জন্য প্রয়োজন ১০-৩৩ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট সুপার ডিজিটাল মাইক্রোস্কোপের। কিন্ত্ত বর্তমান সর্বাধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ভান্ডারে রয়েছে মাত্র ১০-১৭ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ।

কম্পনঃ শব্দের উৎসমূল

শব্দ হলো এক ধরনের তরঙ্গ যা পদার্থের কম্পনের ফলে সৃষ্টি হয়। মানুষের কানে এই কম্পন ধৃত হলে শ্রুতির অনুভূতি সৃষ্টি হয়। এই তরঙ্গ বায়বীয়, তরল এবং কঠিন পদার্থের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় বাতাসের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শব্দের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৬৮.১ মাইল তথা প্রতি সেকেন্ডে ৩৪৩.৪ মিটার।

পদার্থের মধ্য দিয়ে শব্দ তরঙ্গ প্রবাহিত হওয়ার সময় ঐ পদার্থের সকল কণা স্পন্দিত হতে থাকে। প্রতি সেকেণ্ড একবার স্পন্দনকে বলা হয় ১ হার্জ। সকল স্পন্দন মানুষের কানে ধরা পড়ে না তথা শ্রুতির অনুভূতি সৃষ্টি করে না। সাধারণভাবে মানুষের কানে ২০ থেকে ২০,০০০ হার্জ স্পন্দনের শব্দ তরঙ্গ শ্রুত হয়। পরিবেশের জন্য স্বাস্থ্যকর শব্দের তীব্রতা ৬০ ডেসিবল। এই পরিধির কম হলে শব্দকে হলা হয় ইনফ্রা সাউন্ড এবং এর বেশি হলে বলা হয় আল্ট্রা সাউন্ড। কোন বস্তু শব্দের চেয়ে বেশী গতিতে বাতাসের মধ্য দিয়ে ধাবিত হলে তাকে বলা হয় সুপারসনিক।

https://bn.quora.com/sabda-kibhabe-utpanna-haya

শব্দের ইংরেজি যদি word হয়, তাহলে সেটার অর্থ হচ্ছে একাধিক বর্ণ দিয়ে গঠিত অর্থবহ কোনো কিছু। অন্যদিকে শব্দের ইংরেজি যদি sound হয়, তাহলে সেটার অর্থ হচ্ছে পদার্থের কম্পনের ফলে সৃষ্ট তরঙ্গ। তাই ইংরেজিতে word ও sound এর ক্ষেত্রে এই পার্থক্য স্পষ্ট, যা বাংলায় নয়! সেকারণে পদার্থের কম্পনের ফলে সৃষ্ট তরঙ্গকে আওয়াজ বলাটা অধিক যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনেআবার মানুষ যখন কোনো বাক্য, শব্দ, অক্ষর বা বর্ণ মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে, তখনও কিন্তু কম্পনের ফলে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়! তাই শব্দ (word) ও আওয়াজ (sound) কিছুটা হলেও একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত!https://bn.quora.com/শব্দ-word-এবং-

পৃথিবীর শেষও কম্পন থেকে

١- إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا 

When the Earth is Shaken to her (utmost) convulsion,

(Source: Sūra 99: Zilzāl, or The Convulsion, Ayat: 1, Verses 8 — Madani; Revealed at Madina — Sections, https://quranyusufali.com/99/) 

স্ট্রিং থিওরিতে রয়েছে পরকালীন জীবনের ধারণা!

٨٣- فَسُبْحَانَ الَّذِي بِيَدِهِ مَلَكُوتُ كُلِّ شَيْءٍ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ

83. So glory to Him In Whose hands is The dominion of all things : And to Him will ye Be all brought back.

এই মডেলের কিছু সমীকরণের ফলাফল ছিল ভয়াবহ। এই তত্ত্বের গঠন অনুসারে স্থান-কাল ক্রমে ক্ষয়ে যেতে থাকবে এবং এক সময় নিজের উপর দুমড়ে মুচড়ে পড়বে।

স্ট্রিং তত্ত্বমতে, মহাবিশ্বের কণাগুলো যে বিন্দুতে বসে আছে, ওগুলো অ্যাবসুলেট মিনিমাম নয়। লোকাল মিনিমাম। একটা সময় গিয়ে লোকাল মিনিমাম অবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে। তখন কণাগুলো আর এই বিন্দুতে থাকতে পারবে না। চলে যাবে অ্যাবসুলেট মিনিমাম শক্তির বিন্দুতে।আর সেই বিন্দুগুলো আসলে আলাদা আরেকটা মহাবিশ্বের (যেটা আসলে অ্যাকচুয়াল মহাবিশ্ব) অংশ। তাই লোকাল অবস্থা ভেঙ্গে পড়লে আমাদের বর্তমান মহাবিশ্বের আর অস্তিত্ব থাকবেনা অর্থাৎ বিগ ব্যাং পূর্ব হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন নামক মহা আলোর পরম বিন্দু সিঙ্গুলারিটি অর্থাৎ স্ট্রিংয়ে পরিণত হবে ।ফলে, এই মহাবিশ্বের সব উপাদান চলে যাবে আরেকটা মহাবিশ্বে....এটা যদি ঘটে, তাহলে মহাবিশ্বের তাপীয় মৃত্যুর আগেই আমরা অ্যাকচুয়াল মহাবিশ্বে চলে যাবে। 





Comments

Popular posts from this blog

Ashraful Ambia Muhammadur Rasulullah Sallallahu A'laihi Wasallam: in the eyes of prominent Non-Muslim scholars

The Alhambra in Granada, Spain

Unique Green World Pictures