নায়েবে মুজাদ্দেদ রহিমাহুমুল্লা্হর দীনী জিন্দেগীর ইতিকথা

:৩২ وَ مَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا لَعِبٌ وَّ لَهۡوٌ ؕ وَ لَلدَّارُ الۡاٰخِرَۃُ خَیۡرٌ لِّلَّذِیۡنَ یَتَّقُوۡنَ ؕ اَفَلَا تَعۡقِلُوۡنَ ﴿۳۲﴾

و ما الحیوۃ الدنیا الا لعب و لهو و للدار الاخرۃ خیر للذین یتقون افلا تعقلون ﴿۳۲﴾

আর দুনিয়ার জীবন খেলাধুলা ও তামাশা ছাড়া কিছু না। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য আখিরাতের আবাস উত্তম। অতএব তোমরা কি বুঝবে না? ((সূরা আল-আনআম : ৩২) আল-বায়ান

বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্যদূতঃ

বিশ্ব ইসলাম মিশন কোরঅআনী-সূন্নী জমিয়তুল মুসলিমীন হিযবুল্লাহর ١٠٣وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّـهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا ۚ

 “তোমরা আল্লাহর রজ্জু (রশিকে) শক্তভাবে (দৃঢ়ভাবে) আঁকড়ে ধরো এবং পরষ্পর পৃথক(বিচ্ছিন্ন) হয়ো না” । (সূরা আলে ইমরান, আয়াত-১০৩)

উপরোক্ত পবিত্র আয়াত খচিত বিশ্ব মুসলিম ঐক্যের ঝান্ডা তুলে দেশ-বিদেশে ওয়াজ-নসিহত, মুখপত্র নেদায়ে ইসলামসহ সিদ্দিকীয়া কুতুবখানা থেকে কুরআন-হাদিস রিসার্চ করে প্রকাশিত জ্ঞানগর্ভ মূল্যবান কিতাবাদি প্রকাশ করে আমৃত্যু পর্যন্ত বৃহত্তর ইসলামী ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আমরণ যে নিরলস রিয়াজাত-মেহনত করে গেছেন তা স্মরণকালের ইসলামের ইতিহাসে অনন্য-অসাধারণ। তাই তিনি অআমিরুল ইত্তেহাদ, প্যান ইসলামীজমের আধুনিক স্থপতি।  গোল টুপি বনাম লম্বা টুপি, গোল জুব্বা বনাম ফাড়া জুব্বা, কাদেরিয়া বনাম চিশ্তিয়া নিয়ে যেখানে শহীদে কারবালা সেখানে ইসলামী ঐক্যের পতাকা উড়িয়েছেন অতি সস্তা দরেঃ “গুনাহগার হতে পারে, খাতাকার হতে পারে, যতক্ষণ না কেউ কুফরে পৌছে-সে আমার ভাই”-এর চেয়ে সস্তা ঐক্য আর কি হতে পারে যেখানে ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে দলাদলি, মারামারি, হানাহানি!

মাওলানা আবুল আনসার মুহাম্মাদ আবদুল ক্বাহহার সিদ্দিকী আল কুরাইশীঃ যুগশ্রেষ্ঠ সূন্নী

 

সুন্নাতের তাবেদারী নাজাতের একমাত্র পথ

আপাদমস্তক সুন্নী  নায়েবে মুজাদ্দেদ (রহিমাহুল্লাহ) মুহিহুস সুন্নাহ ছিলেন । প্রায় ওয়াজে তিনি  সুন্নাহর উপর জ্ঞানগর্ভ ওয়াজ ফরমাতেন। তিনি বলতেনঃ সুন্নাতের তাবেদারী নাজাতের একমাত্র পথ।

যে কারণে পীর সাহেব আ.ন.ম. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেব হাদিস
বিষয়ে উচ্চতর গবেষণার উদ্দেশ্যে রিয়াদে পিএইচডিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

 পীর সাহেব খুবই বিব্রত ছিলেন সুন্নাতের নামে বেসুন্নাতি কাজের জন্য। এ জন্য স্বীয় জামাতা কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদীস বিভাগের শিক্ষক আ.ন.ম. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেবকে হাদিস (কোনটি সহীহ কোনটি জাল)-বিষয়ে উচ্চতর গবেষণার উদ্দেশ্যে রিয়াদে পিএইচডিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

জ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন নায়েবে মুজাদ্দেদ রহিমাহুমুল্লাহ

ডক্টরেট করে দেশে ফিরলে পীর সাহেব উনাকে ইসলামী কিতাব লেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এমনকি কোন্ বিষয়ের উপর কিতাব লিখবেন বিষয়টিও পীর সাহেব জানিয়ে দিতেন। সর্বশেষ যে কিতাবটি লিখতে খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেবকে অসিয়ত করেছিলেন বইটি পর্দা বিষয়ক। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, বায়েত হওয়ার পর সর্ব প্রথম পাহাড়তলী, বাছা মিয়া রোডস্থিত ফুরফুরা দরবারের চট্টগ্রাম জেলা মার্কাযে  পীর সাহেবের একান্ত মজলিশে অআমরা যে বিষয়ে পীর সাহেবের আলোচনা শুনছিলাম তা-ও ছিল মা-বোনদের মুখ ঢেকে রাখা, না রাখার অর্থাৎ পর্দা বিষয়ে।

নায়েবে মুজাদ্দেদ ছিলেন সত্যিকার আমলী সুন্নি

মহানবী সা. ইনতেকাল করেন তেষট্টি বছর বয়সে উনার মৃত্যুও হয়েছিল সুন্নাত মতে ষাট এবং সত্তর বয়সের মাঝামাঝিতে। সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় দ্বীনী সফরের সময়ও তিনি সুন্নাহর অনুসরণে লুঙ্গি পরিহিত থাকতেন।

 উনার বিশেষ সুন্নাহ ছিলঃ জামিউল ক্বওল। সত্যিকার সুন্নী হিসাবে তাই অল্প কথায় জ্ঞানের সব বিষয়কে একত্রিত করে ওয়াজ ফরমাতেন নায়েবে মুজাদ্দেদ। চট্টগ্রামে জীবনের সর্বশেষ দ্বীনী মাহফিলের শেষে গভীর রাতে পীর সাহেবের গাড়ী ঢাকামুখী অবস্থায় অর্থাৎ যাত্রা শুরুর পূর্ব মুহুর্তে সর্বশেষ মূল যে শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন সে শব্দটি হচ্ছে ছিল “তাওহীদ”। শব্দটিকে বলা যায় দ্বীন আল ইসলামের ডিএনএ।

নায়েবে মুজাদ্দেদ রহ. কাশফ, ইলহাম, ইলকার অধিকারী ছিলেন

 কাশফ

কাশফ মানে হল অজানা কোন বিষয় নিজের কাছে প্রকাশিত হওয়া।

এ  কাশফ কখনো সঠিক হয় আবার কখনো মিথ্যা হয়। কখনো বাস্তবসম্মত হয়, কখনো বাস্তব পরিপন্থী হয়। তাই এটিকে শরীয়তের কষ্টিপাথরে যাচাই করা আবশ্যক। https://ahlehaqmedia.com/কাশফ-ও-ইলহাম-সম্পর্কে-শরয়/

সহীহ হাদীসে এসেছে

عَنْ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” إِنَّ لِلشَّيْطَانِ لِمَّةً، وَلِلْمَلَكِ لِمَّةً، فَأَمَّا لِمَّةُ الشَّيْطَانِ فَإِيعَادٌ بِالشَّرِّ، وَتَكْذِيبٌ بِالْحَقِّ، وَأَمَّا لِمَّةُ الْمَلَكِ فَإِيعَادٌ بِالْخَيْرِ، وَتَصْدِيقٌ بِالْحَقِّ، فَمَنْ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ فَلْيَعْلَمْ أَنَّهُ مِنَ اللهِ، فَلْيَحْمَدِ اللهَ، وَمَنْ وَجَدَ مِنَ الْآخَرِ فَلْيَتَعَوَّذْ مِنَ الشَّيْطَانِ، ثُمَّ قَرَأَ {الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَاءِ وَاللهُ يَعِدُكُمْ مَغْفِرَةً مِنْهُ وَفَضْلًا} [البقرة: ২৬৮]

“নিশ্চয় মানুষের অন্তরে শয়তানের পক্ষ থেকেও কথার উদ্রেক হয়, ফেরেশতার পক্ষ থেকেও কথার উদ্রেক হয়। ফেরেশতার উদ্রেক হল, কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতি দান এবং হকের সত্যায়ন করা। যে ব্যক্তি এটি অনুভব করবে, তাকে বুঝতে হবে যে, তা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে, তাই তার প্রশংসা করা উচিত। আর যে ব্যক্তি দ্বিতীয়টি অনুভব করবে, তাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় কামনা করতে হবে। অতঃপর তিনি [সূরা বাকারার ২৬৮ নং] আয়াত পাঠ করেন, অর্থাৎ শয়তান তোমাদের অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়। অপরদিকে আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও অধিক অনুগ্রহের ওয়াদা করেন”। 

{সুনানুল কুবরা লিননাসায়ী, হাদীস নং-১০৯৮৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৯৯৭, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৪৯৯৯, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২৯৮৮} https://ahlehaqmedia.com/কাশফ-ও-ইলহাম-সম্পর্কে-শরয়/

আহলে ‘কাশফ’ এবং আহলে ‘ইলহামের’ অধিকারী ছিলেন নায়েবে মুজাদ্দেদ সাহেব-যার কারণে উনার জীবনের শেষ মুহুর্তের মূল্যবান সময়গুলির পূর্ণ সদ্ব্যবহারের লক্ষ্যে করে নিজেকে চমৎকারভাবে আগাম গুছিয়ে ফেলা ছিল লক্ষ্যণীয়। সম্ভবতঃ এতে অনুপ্রাণিত করছিল কাশফ এবং ইলহাম।। বিশেষ করে সর্বদলীয় ইসলামী ঐক্য সম্মেলন অনুষ্ঠান কাশফের স্বাক্ষর বহন করে মৃত্যুর পূর্ববর্তী ২০০৫ সালে “তাঁর অবর্তমানে পরবর্তী গদ্দীনসীন পীর” মনোনয়নের মধ্যদিয়ে (যার বিশদ বিবরণী সামনে পেশ করা হবে ইনশাআল্লাহ)। হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ কাশফ সম্পর্কে বলেন, “বুযুর্গদের যে কাশফ হয়ে থাকে, তা তাঁদের ক্ষমতাধীন নয়।{ইলম ও আমল, বাসায়েরে হাকীমুল উম্মত-২১৫-২১৬}

ইলহাম

ইলহামের পারিভাষিক অর্থ হল, চিন্তা ও চেষ্টা ছাড়াই কোন কথা হৃদয়ে উদ্রেক হওয়া। ইলহাম কাশফেরই প্রকার বিশেষ। ইলহাম সহীহ হলে তাকে ইলমে লাদুন্নী বলা হয়ে থাকে। 

যে ইলহাম শরীয়তের কোন হুকুম আহকাম সম্পর্কিত এবং এর পক্ষে শরীয়তের দলীলও বিদ্যমান থাকে, শুধু এ ধরণের ইলহামকেই সহীহ ইলহাম বলা হবে এবং ধরা হবে এটি আল্লাহ তাআলা পক্ষ থেকে হয়েছে। এটি আল্লাহ তাআলার নিয়ামত বলে পরিগণিত হবে। এ ব্যাপারে তাঁর শোকর আদায় করা দরকার{ফাতহুল বারী-১২/৪০৫, কিতাবুত তাবীর, বাব-১০, রূহুল মাআনী-১৬/১৬-২২, তাবসিরাতুল আদিল্লা-১/২২-২৩, মাওকিফুল ইসলাম মিনাল ইলহাম ওয়াল কাশফি ওয়াররূয়া-১১-১১৪}। https://ahlehaqmedia.com/কাশফ--ইলহাম-সম্পর্কে-শরয়/

দারুস সালামে অনুষ্ঠিত জাতীয় মুবাল্লেগ সম্মেলন-২০০৫ সম্পর্কে কিছু কথা

২০০৫ সাল থেকেই পীর সাহেব একের পর এক কর্ম ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছিলেন। এ বছরই চট্টগ্রামে পীর সাহেব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তাওহীদ জামে মসজিদ, এ বছর আমির উল ইত্তেহাদ হিসাবে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান মেহমান ছিলেন যোগ পীর সাহেব। এই বছরের মাঝামাঝিতে পীর সাহেব আহবান করেছিলেন দারুস সালামে সিদ্দিকীয়া বিশ্ব ইসলাম মিশন কোরঅআনী-সুন্নী জমিয়তুল মুসলিমীন হিযবুল্লাহর  “জাতীয় মোবাল্লিগ সম্মেলন”।

উদ্দেশ্যঃ এই সম্মেলনে পীর সাহেব কর্তৃক ফুরফুরা দরবারের সর্বস্তরের মুবাল্লেগবৃন্দের প্রতি প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক দিক নির্দেশনা, আগামীদিনের রাহবার মনোনয়ন ইত্যাদি।

সম্মেলনের কোনো এক দিবসের বাদ যোহর। খাওয়া দাওয়ার পর সবাই কায়লুলা অবস্থায়। এমন সময় দারুস সালাম মসজিদ থেকে ঘোষণা এলোঃ, মুবাল্লিগ ভাইয়েরা আপনারা সবাই মার্কায মসজিদে চলে আসুন, পীর সাহেবের জরুরী বয়ান আছে।

জমিয়তুল মুসলিমীন হিযবুল্লাহর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হযরত মাওলানা আবুল বাশার জিহাদী সাহেব পূর্বেই মসজিদে তাশরীফ এনেছেন। অতঃপর পীর সাহেব আসলেন। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সর্বস্তরের মুবাল্লিগবৃন্দের উদ্দেশ্যে পরবর্তি গদ্দীনসীন পীর মনোনয়নসহ বিশ্ব ইসলাম মিশন কোরঅআনী-সূন্নী জমিয়তুল মুসলিমিন হিযবুল্লাহ সংগঠনের জরুরী সাংগঠনিক দিক-নির্দেশনার।

চট্টগ্রামে সর্বশেষ দ্বীনী সফরকে কেন্দ্র করে যেভাবে প্রকাশমান হচ্ছিল নায়েবে মুজাদ্দিদ রহিমাহুল্লাহর ‘কাশফ’ আর ‘ইলহাম-ইলকা

হিজরি তের বর্ষের সফর মাস থেকে মহানবী সা. এর ওফাতের যেমন শিরঃপীড়ার মাধ্যমে লক্ষণ ফুটে উঠেছিল, নায়েবে মুজাদ্দেদেরও ২০০৬ মোতাবেক ১৪২৭ হিজরির সফর মাসের একেবারে শেষ দিকে আকস্মিক চট্টগ্রামে দীনী মাহফিলের ঘোষণাতেও নিহিত ছিল পীর সাহেবের আল বিদার লক্ষণাদি।

সে বছর আকস্মিকভাবে চট্টগ্রামে দীনী সফরের ঘোষণার মধ্যে অত্যাসন্ন মৃত্যুর একটা অআলামত অআগাম প্রস্ত্তুতিমূলক কাশফের প্রমাণ মেলে। ‌‌‌কারণ, মনে হচ্ছিল, হজ্ব কিংবা প্রবাসের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ সফরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার অনেক আগ থেকে যেমন মুসাফির তাঁর পারিবারিক, সামাজিক, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সাথে জাগতিক লেনদেনের হিসাবের ইজা চুকিয়ে নেন, আত্মীয় স্বজন-বন্ধু বান্ধব যাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ জরুরী; তাঁদের সাথে জরুরী দেখা সাক্ষাৎ করে নেন, থাকেন প্রতিটা মুহুর্ত জরুরী কাজে ব্যস্ত সমস্ত- ঠিক সেভাবে নায়েবে মুজাদ্দেদ উনার মৃত্যু পূর্ববতী একে একে সব কাজ যেন দ্রুত সেরে নিচ্ছিলেন।  

এই বছরের (২০০৫) শেষভাগে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় ওলামা মাশায়েখ’ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন। এই বছরেই পীর সাহেব কর্তৃক পাহাড়তলী থানার ফুরফুরা নগরে জমিয়তুল মুসলিমীন হিযবুল্লাহর চট্টগ্রাম জেলা মার্কায দারুত তাওহীদ (পীর সাহেব কর্তৃক নামকরণকৃত) প্রতিষ্ঠা, তারও অনেক আগেই সেরে নিয়েছিলেন দল-মত-নির্বিশেষ সর্বস্তরের ‘জাতীয় ইসলামী ঐক্য সম্মেলন’। তিনি স্বপ্ন দেখতেন বৃহত্তর ইসলামী ঐক্যের। যার কারণে জমিয়তুল হিযবুল্লাহর সবুজ ইসলামী পতাকায় খচিত ছিল ঐক্যের আয়াতঃ ওয়াতাসিমু বিহাবলিল্লাহ..

আমির-উল- ইত্তেহাদ ফুরফুরার পীর সাহেব ছিলেন প্যান ইসলামিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা আল্লামা জামাল উদ্দিন আফগানী রহিমাহুমুল্লাহ, ডক্টর আ’ল্লামা মুহাম্মাদ ইকবাল রহিমাহুমুল্লাহর উত্তরসূরী

আমির-উল- ইত্তেহাদ ফুরফুরার পীর সাহেব ছিলেন যে ঐক্যের স্বপ্ন দেখতে সেই স্বপ্নই দেখতেন প্যান ইসলামিজমের (বৃহত্তর ইসলামী ঐক্যের) স্বপ্নদ্রষ্টা আল্লামা জামাল উদ্দিন আফগানী রহিমাহুল্লাহ, ডক্টর আল্লামা মুহাম্মাদ ইকবাল রহিমাহুমুল্লাহ প্রমুখ। নায়েবে মুজাদ্দিদ ছিলেন বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সত্যিকারের ঐক্য দূত। এ কারণে উনাকে বলা হয়ঃ ‘আমির-উল-ইত্তেহাদ’

ওলীকূল শিরোমণি ফখরে আউলিয়া নায়েবে মুজাদ্দেদের কিছু স্মরণীয় দিক-প্রসঙ্গ

কথায় বলে মওতুল আলেমে, মওতুল আলাম। একজন আলেমের মৃত্যু যেন পুরো জগতের মৃত্যু। ওলীকূল শিরোমণি ফখরে আউলিয়া ফুরফুরা দরবারের গদ্দীনসীন পীরও ছিলেন এমন আলেমে দীন-যার ইনতেকালে জগত জুড়ে পড়েছিল শোকের ছায়া।

জীবৎকালেই ফুটে উঠেছিল মুজাদ্দেদিয়াতের জীবন্ত ছবি। এক ব্যক্তি আমাদের সামনেই চট্টগ্রামে দীনী সফরকালীন সময়ে হাজীপাড়া, অআগ্রাবাদে শেখ এনামুল হক সাহেবের বাড়ীতে অবস্থানরত পীর সাহেবের চেহারার দিকে লক্ষ্য করে ইনতেকালের অনেক পূর্বেই বলে বসেনঃ “আপনি মুজাদ্দেদ”। কথাটি শুনে পীর সাহেব আপন চেহারাটা এমনভাবে মলীন করে ফেলেন তাতে লোকটি অনেকটা ভড়কে যান। লোকটির মনে হচ্ছিল কথাটি বলে তিনি বড় ধরণের অপরাধ করে ফেলেছেন। অথচ কথাটি ছিল অনেকটা চাটুকারিতা বা তোষামোদী ধরণের। যাতে মানুষ সাধারণতঃ এক ধরণের আত্মতৃপ্তি বা পুলক অনুভব করে থাকে। কিন্ত্ত পীর সাহেবের যেন আত্মতৃপ্তির পরিবর্তে অনেকটা ক্ষোভ জেগে উঠেছিল। তাইতো চেহারায় ফুটে উঠছিল অন্তর্জ্বালার ক্ষোভ। লোকটি নিজের মধ্যে সাত্বনা খুঁজে এই ভেবে যে, কথাটা যদি এতই “আপনি মুজাদ্দেদ” আপত্তিকর হয়ে থাকে তিরস্কার/ভর্ৎসনা না করে চুপ থেকেছেন কেন?

দাদাহুজুর বলতেনঃ বাআদব বা নসীব। তাই শায়খ-মাশায়েখদের নিকট আবদ রক্ষা করে চলতে হয় বৈকি। মুখ থেকে যা আসে চাই বলার মধ্যে আর যাই থাকুক-আদব রক্ষা হয় না। পৃথিবীতে সবার স্থান থাকে কিন্ত্ত থাকে না আদব নাই ওয়ালাদের। এ সব তত্ত্ব কথা মনে পড়লে লোকটির অন্তর্জ্বালা আরও বেড়ে যেত বৈকি। এই জ্বালা নিয়েই মাস যায়, বছর যায়। একদিন পাকশি বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল ও ইসালে সওয়াবে গিয়ে ডক্টর আল্লামা আ.ন.ম. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গির সাহেবের (দুলাভাই হুজুর) ওয়াজ শুনে লোকটি কিছুটা স্বস্তি ফিরে পান। কারণ, ওয়াজে হুজুর বলছিলেনঃ  ‘শরিয়তে ইসলামে এমন কথা রয়েছে যা বর্তমানের জন্য নাজায়েজ ভবিষ্যতের জন্য জায়েজ’।

“আপনি মুজাদ্দেদ”-কথাটি কি তাহলে ভবিষ্যতের জন্য জায়েজ হবে? তাই লোকটির অগত্যা ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা ছাড়া গতান্তর রইল না। এরপর মাস/বছর অনেকটা পেরিয়ে ২০০৬ সালের ২২ শে ডিসেম্বর জুমাবার তারিখ যখন পীর সাহেবের নামাযে জানাযার পর দাফনের উদ্দেশ্যে কফিনবাহী খাটিয়া বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন লোকটিও দাফনে শরীর হওয়ার জন্য কফিনের পিছু পিছু হাঁটছিল। কফিন যখন দারুস সালাম মার্কায জামে মসজিদের কাছাকাছি যাচ্ছিল তখন লোকটি অনেকটা একা হয়ে পড়েন কারণ কফিন মসজিদ পেরিয়ে কবরস্থানের অনেকটা কাছাকাছি এসে পড়েছিল। ফলে লোকটিরআশে পাশে কেউ ছিল না, কিন্ত্ত কে বা কারা লোকটির কানে কানে বলে যান যে, মরহুম পীর সাহেবকে নায়েবে মুজাদ্দেদ ঘোষণা করা হয়েছে। লোকটি তৎক্ষণাৎ ফররে ফরাহ ( এক প্রকার আনন্দনুভূতি) অনুভব করে। এই ঘোষণা কে বা কারা দিয়েছেন এ প্রশ্ন জাগার আগেই আওয়াজ আসে দরবারের বাইরের একটি মিশনারীর তরফ হতে আবদুর রউফ নামের এক ব্যক্তি কর্তৃক এই মুজাদ্দেদিয়াতের ঘোষণা আসে। ঘোষকের নাম শোনার সাথে সাথে লোকটি বুঝে নিয়েছেন ঘোষক আর কেউ নন, দূর সম্পর্কীয় নানাজান!

তা জেনে লোকটি দ্বিতীয়বারের মতো পুলকিত হয় কারণ ঘোষক বিচারপতি সাহেব যে লোকটির সম্পর্কে নানাজান!  যেহেতু খবরটি হাওয়া থেকে পাওয়া সেহেতু আমরা (নিবন্ধকার) খবরটির উৎস খুঁজতে সচেষ্ট হয়ে চট্টগ্রামের ফুরফুরা দরবারের সন্মানিত দায়িত্বশীল জনাব ফজলুল হক সাহেব থেকে ফুরফুরার ইতিহাস গ্রন্থ চেয়ে নিই এবং উক্ত গ্রন্থের ৩৬২ পৃষ্ঠার ১৪-১৫ লাইনে ঘোষক ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ করে বলা হয়েছেঃ “মিশনারী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিচারপতি আবদুর রউফ”।

আমাদের জানা মতে, লোকটির নানা (বিমাতার মামাজান) চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগন্জ নিবাসী বিচারপতি  আলী আকবর চৌধুরী হচ্ছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ সাহেবের আপন ভগ্নিপতি। লোকটি মুজাদ্দেদে জামান অআবু বকর সিদ্দিকী অআল কুরাইশী রহিমাহুমুল্লাহর অন্যতম খলিফা সুফিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা (এই মাদরাসার ছাত্র ছিলেন ফুরফুরা দরবারের প্রধান মুফতি ছাইদ আহামাদ মুজাদ্দেদী সাহেব) হযরত মাওলানা সুফী মুহাম্মাদ আবদুল গণি (আউয়াল সাহেব হুযুর) এর একাধিকসূত্রে আত্মীয় হন। এই বিষয়ে আমরা সত্যতা সরাসরি নিশ্চিত হই আউয়াল সাহেবের আপন নাতিজী মিরসরাইয়ের শান্তিরহাট মাদরাসার মুহতামিম হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ একরামুল হক সাহেবের কাছ থেকে তিনি আমাদেরও আত্মীয়ের সম্পর্কে সম্পর্কিত।

 এই ঘোষণা শুনে লোকটির মধ্যে দারুন ভাবান্তর দেখা দেয় এবং সদ্য ঘোষিত নায়েবে মুজাদ্দেদ পীর সাহেবের দাফনে শরীক হওয়ার কথা ভুলে গিয়ে মসজিদ ঢুকে পড়ে এবং এক পর্যায়ে আসরের আজান হলে নামায পড়ে কাফেলার চট্টগ্রামগামী মাইক্রোবাসে উঠে পড়েন।

 তবে দরবার থেকে নয়,

এই তো জীবন! এই তো জীবন!!

অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রামের ফুরফুরা দরবারের মুহেব্বীনরা দারুস সালামে দেখতে গেলে শেখ সাহেবকে দেখে বলে উঠেছিলেন এই বলেঃ এই তো জীবন! এই তো জীবন!! নায়েবে মুজাদ্দেদ রহ. এর কথাগুলোতে রয়েছে উপরোক্ত সূরা আল আনামের ৩২নং আয়াতের মর্মার্থই।

অসুস্থতাবস্থায় পীর সাহেবকে যেমন দেখলাম

১৪২৭ হিজরির ১লা রবিউল আউয়াল থেকে কয়েকদিন ব্যাপী চট্টগ্রামে দীনী মাহফিল সমাপ্ত করে ঢাকা ফিরে পীর সাহেব উত্তর বঙ্গ সফরে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পীর সাহেবের অসুস্থতার সংবাদের পাশাপাশি এও বলা হয়, পীর সাহেবকে দেখা সাক্ষাতে ডাক্তারী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অনেক দিন পর জানতে পারি যে, পীর সাহেব দারুস সালামে আছেন এবং দেখা-সাক্ষাৎতে বাধা নেই। এ সংবাদ শোনার পর একটা সুযোগ আল্লাহর রহমতে এসে যায় তা হচ্ছে সরকারী ছুটির পাশাপাশি মাসিক বেতন পাওয়া। দারুত তাওহীদের জন্য একজন দাতা বেশ কিছু টাকা দেয়ার যে কথা ছিল শেখ সাহেবকে নিয়ে তা দিনে উসুল করে রাতেই তূর্ণা নিশিথায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি। দারুস সালাম পৌঁছে দেখি, ওয়াজ স্টেজের কাছাকাছি জায়গায় দাঁড়ানো চোখে-মুখে নূরে নুরান্বিত এক জ্যোতির্ময় দৃষ্টিতে আমার দিকে  তাকিয়ে যেন হাসছেন। এশরাকের নামায কমলাপুর রেল স্টেশন মসজিদে আদায় করলেও খুতখুতে মনের কারণে দারুস সালাম গিয়ে আবার আদায় করার খেয়াল চাপলে পীর সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ না করে সোজা দারুস সালাম মার্কাযের মসজিদে ঢুকে গেলাম। ততক্ষণে পীর সাহেব চলে গেলেন অন্দরমহলে।   

তখন রোজার মাস ছিল। তাই কতক্ষণ কুতুবখানায় ঘুরে ফিরে কুতুবখানার উপরে উঠে আবদু্ল্লাহ ভাই নাকি আনোয়ার ভাই উনার সাথে কথা বলতে বলতে মনে হয় এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রেস্টের পর নীচে নেমে দেখি পীর সাহেব নিত্যদিন কুতুবখানার পার্শ্বে বারান্দায় বসে যেভাবে দর্শনার্থীদের দর্শন দিতে বসতেন থাকতেন আজও সে একই জায়গায় বসে আছেন। তবে নির্বাক। চট্টগ্রাম থেকে ফিরে আসার সময় আমাকে যে একটা দায়িত্ব দিয়েছিলেন তার অগ্রগতি পীর সাহেবকে জানানোর একান্ত ইচ্ছা থাকলেও এই নির্বাকতার কারণে সে ইচ্ছাটাও উবে যায়। তবে কলকাতার চকচাদনী এলাকা থেকে এক দর্শনার্থী দর্শন করতে গিয়ে পীর সাহেবের সাথে আলাপে জড়িয়ে পড়েন। তিনি কলকাতার ঐ এলাকার কিছু দ্বীনী ব্যাপার নিয়ে পীর সাহেবের সামনে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছিলেন এবং লক্ষ্য করলাম পীর সাহেব তা মনোযোগ সহকারে শুনছেন দেখে বুঝলাম নির্বাক হলেও পীর সাহেব অচেতন নন। এরপর তাই আমি পীর সাহেবকে আমার কাজের অগ্রগতি শোনাচ্ছিলাম আর পীর সাহেব মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন মনে হচ্ছিল। কিন্ত একটা শব্দও উচ্চারণ করলেন না। এর বেশ কিছুদিন পর বার্ষিক ইসালে সওয়াব মাহফিল।

দিনে নির্বাক, রাতে সবাক!

বিস্ময়ের ব্যাপার হলো দারুস সালামে বার্ষিক ইসালে সওয়াবের মাহফিল-২০০৬-কে কেন্দ্র করে পোষ্টার ব্যানারে লেখা ছিল, মাহফিল পরিচালনা করবেন গদ্দীনসীন পীর সাহেব (তৎসহ ওয়াজ করবেন)। তাই কৌতুহলী মন নিয়ে মাগরিব পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখলাম সত্যি সত্যি পীর সাহেব যথারীতি স্টেজে উঠেছেন এবং ভাঙা ভাঙা শব্দে ওয়াজ করছেন তবে তা স্পষ্ট। স্টেজ থেকে নামার পর আবারও নির্বাক। এ এক অপূর্ব আয়াত (নিদর্শন বা কারামাত) বটে! 

 তাওহীদঃ নায়েবে মুজাদ্দেদ, শেরে ফুরফুরার চট্টগ্রামে সর্বশেষ দ্বীনী সফরের সর্বশেষ কথা

তাওহীদ কি আমানত, ছিনো মে হে হামারে

চট্টগ্রামে জীবনের সর্বশেষ দ্বীনী মাহফিলের শেষে রাত প্রায় গভীরে পীর সাহেবের গাড়ী ঢাকামুখী অবস্থায় অর্থাৎ যাত্রা শুরুর পূর্ব মুহুর্তে সর্বশেষ মূল যে শব্দটি আমাদেরকে লক্ষ্য করে উচ্চারণ করেছিলেন সে শব্দটি হচ্ছে ছিল “তাওহীদ”। শব্দটিকে বলা যায় দ্বীন আল ইসলামের ডিএনএ

উল্লেখ্য, বার আউলিয়ার ধন্য ভূমি ইসলামাবাদ চট্টগ্রামে সর্বশেষ দোয়ার মাহফিল শেষে ফিরতি পথে গাড়িতে উপবিষ্ট স্বীয় মুরিদ-মুহেব্বীনদের সাথে যে মূল বিষয়ের উপর পীর সাহেব যে তাওহীদ নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করছিলেন শেষ মুহুর্তে তা-ই স্মরণ করিয়ে দেন যে তাওহীদ বিশ্ব ব্যাপী প্রচার প্রসারে জীবনের প্রায় তিন দশক কাটিয়ে দিয়েছিলেন এই বলেঃ       তাওহীদ কি আমানত, ছিনো মে হে হামারে।
আছান নেহী মিটানা।নামও নিশান হামারা

আল বিদা! আল বিদা!! আল বিদা!!!

২০০৫ সালে এই চট্টগ্রামেই তাওহীদের নামে পীর সাহেব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন “দারুত তাওহীদ জামে মসজিদ”। বছরান্তে (২০০৬) আজ তা-ই ছেড়ে যাচ্ছেন! এর পর যথা সময়ে ঢাকা অভিমুখে গাড়ি স্টার্ট দেয়া হলো। পীর সাহেব চট্টগ্রাম ছেড়ে যাচ্ছেন। কে জানতো: আল বিদা! আল বিদা!! আল বিদা!!! হে (আগামী দিনে ঘোষিতব্য) নায়েবে মুজাদ্দেদ!


ELIAS BHAI:

বন্ধ দরজা হাজিপাড়ায় যেভাবে খুলেছিল!

নায়েবে মুজাদ্দেদ রহিমাহুল্লাহ একদা দ্বীনী সফরে চট্টগ্রামের হাজিপাড়ায় অবস্থানরত। রাতে শোয়ার সময় সব দরজা বন্ধ আছে কিনা জানতে চাইলে বলা হলো। সব দরজা বন্ধ। ঢাকা থেকে খাদেমের বিলম্বিত আগমনের কারণে পীর সাহেবের একনিষ্ঠ ও একান্ত খাদেমের দায়িত্ব পালন করছিলেন পীর সাহেবের স্নেহধন্য মুহাম্মাদ ইলিয়াছ হাওলাদার ফরিদপুরী। রাত তখন গভীর। ইলিয়াস ভাই হঠাৎ স্বপ্নের মতো জীবন্ত দেখলেন ঢাকা থেকে আগত দারুস সালামে পীর সাহেবের একান্ত খাদেম আমজাদ হোসেন ভাইকে।বিস্মিত কন্ঠে ইলিয়াস ভাইয়ের প্রশ্নঃ আপনাকে কে দরজা খুলে দিলেন?-এমনতর প্রশ্ন করতে না করতেই  ইলিয়াস ভাইকে আমজাদ ভাই মুখে আঙ্গুল দিয়ে ইশারায় চুপ থাকতে বল্লেন। ব্যস এতটুকুন।

 


Comments

Popular posts from this blog

Ashraful Ambia Muhammadur Rasulullah Sallallahu A'laihi Wasallam: in the eyes of prominent Non-Muslim scholars

The Alhambra in Granada, Spain

প্রত্যেক বিষয় মূলে পৌছে (ফারাবী আল আরাবী)।