প্রত্যেক বিষয় মূলে পৌছে (ফারাবী আল আরাবী)।
ইসলামী সৃষ্টি তত্ত্ব
প্রত্যেক বিষয়
মূলে পৌছে (ফারাবী আল আরাবী)। কসমোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড মডেল থিওরি মতে,
মহাবিশ্বের শুরু বিগ ব্যাঙ থেকে। বিগ
ব্যাঙের মূল হছেছ থিওরিমতে, হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশন। তাত্ত্বিক পদার্থ
বিজ্ঞানের মহাজাগতিক সৃষ্টি তত্ত্ব
এখানেই সীমাবদ্ধ। বিজ্ঞানীরা যতই হাইয়েস্ট এনার্জেটিক
রেডিয়েশনের আরও পূর্বে যতই যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ততই অসীম বিজ্ঞানীদের হাতছানি
দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের স্বতস্ফুর্ত সিদ্ধান্তঃ “তারা অসীমের পথে যাবেন না”। তারা মনে করেন “অসীম অর্থহীন” বিষয়। যেমন আইনস্টাইন মনে করেন, “বস্তু-পদার্থ
কণা আলোর গতি কখনও ছাড়িয়ে যাবে না- যদি না “অসীম ক্ষমতা” প্রয়োগ
হয়”। আইনস্টাইন আরও মনে করেন, “অসীম
ক্ষমতা প্রয়োগ অসম্ভব”-এই বিশ্বাসে আইনস্টাইন মনে করতেন, যেহেতু “অসীম
ক্ষমতা প্রয়োগ অসম্ভব” সেহেতু “বস্তু-পদার্থ কণা আলোর গতি কখনও ছাড়িয়ে যাবে না।
কেন
“অসীম অর্থহীন”-এ বিষয়ে পদার্থ বিজ্ঞানে প্রশ্নও নেই, উত্তরও নেই
। যেমন হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনের পূর্বে কি ছিল? এই প্রশ্নও পদার্থ বিজ্ঞানে
না থাকায় উত্তরও পাওয়া যাচ্ছে না । ফলে আধুনিক বিজ্ঞান থেমে অআছে
এই প্রশ্নে। অবশ্য আধুনিক বিজ্ঞানের ভাস্যঃ এমন প্রশ্ন
রয়েছে যার উত্তর এই পৃথিবীতে পাওয়া যাবে না। যেমনঃ এই মহাবিশ্ব কত বড়? এর শেষ
কোথায়? এসব প্রশ্নে উত্তরে বলা হয়ঃ জানি না উই ডন্ট নো। কারণ, জানা বিশ্বের চেয়ে অজানা বিশ্ব অ-নে-ক বড়। কত বড়? আমরা জানি
না উই ডন্ট নো।
বিজ্ঞান দ্বারা নয় আমার/আপনার
দুই হাতের পাঁচ পাঁচ মোট দশ আঙ্গুলই যথেষ্ট অতি বুদ্ধিমান, অতি প্রজ্ঞাময় সত্বার স্রষ্টার
অস্তিত্বে বিশ্বাসের জন্য। যে অআঙ্গুল পুড়ে গেলে অআর কর্মক্ষম থাকে না। প্রতিটি অআঙ্গুলের
কর্মক্ষমতার জন্য স্পিং স্বরূপ অআঙ্গুলের উপরিভাগের
চামড়াকে লুজ করা হয়েছে যা পুড়ে গেলে অআঙ্গুলটি একটি অআস্ত কাঠি ছাড়া অআর কিছু থাকে
না। এ অআঙ্গুল প্রয়োজনে মুষ্টিবদ্ধ করা যায় না। তাতে কাজের প্রয়োজনে ঝুকানো যায় না। অর্থ্যাৎ আঙ্গুলটি নিস্ক্রিয়
হয়ে পড়ে। সবগুলো আঙ্গুল নিস্ক্রিয় হয়ে গেলে পুরো হাতটা অকেজো হয়ে যায়। বৃদ্ধ আঙ্গুলি
আর তর্জনী আঙ্গুল এখনও ডিএনএ বা প্রকৃত ব্যক্তি
সনাক্তকরণে এই ডিজিটাল যুগেও শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিরূপে স্বীকৃত। এরপরও কী মহান সত্বার
অস্তিত্ব কঠিন মনে হচ্ছে?
ঈমান দিয়েছেন আল্লাহ। রক্ষা করবেনও
আল্লাহ। স্বয়ং অআল্লাহ ঈমানের পরীক্ষাকে কঠিন করেছেন সত্য কিন্তু ঈমানকে কঠিন করেন
নি। যেদিকে তাকাও আল্লাহর কুদরাত বিরাজমান। বর্তমান পদার্থ বিজ্ঞান দিয়ে পুরো বিজ্ঞানতো
দূরের কথা পদার্থ বিজ্ঞানকেও জানা যাওয়ার কথা নয়। কারণ, ডেমোক্রিটাস পেরিয়ে অ্যারিস্টটল,
অ্যারিস্টটল পেরিয়ে জাবের ইবনে হাইয়ান,নিউটন, দিমিত্রি মেন্ডালিফ, অআইনস্টাইন, ম্যাক্স
প্ল্যাঙ্ক, হাইজেনবার্গ পেরিয়ে এখন এনালগ পেরিয়ে ডিজিটাল যুগ চলছে। বিশ্ব এগিয়ে চলেছে
প্রযুক্তির জোয়ারে, বিশ্ব পিছিয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞানের ভাটার আবর্তে। কোয়ান্টামের আগ
পর্যন্ত খোদ আইনস্টাইন মনে করতেন প্রকৃতির সবকিছু জানা শেষ হয়ে গেছে। কারণ, নিউটন
প্রকৃতির সব ভাষা বুঝে ফেলেছেন গণিতের ফর্মূলার মাধ্যমে। যদিও নিউটন পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ
তত্ত্বের কারণে মহাবিজ্ঞানীতে পরিণত হয়েছিলেন কিন্ত্ত মহাকাশের মহাকর্ষের স্বরূপ দেখে
হতভম্ব হয়েছে জীবনের একেবারে শেষ দিকে এসে এই স্বীকারোক্তি করে যান যে,.............................................।
এই স্বীকারোক্তির জীবন্ত ফসল ছিল ম্যাক্স প্ল্যাঙ্কের কোয়ান্টাম মেকানিকস।যা অআইনস্টাইনের মাথা খারাপ
করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। তাই কোয়ান্টামের অসারতা প্রমাণের জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন।
নীল বোরস এবং তার অনুগামীরা যদি কোয়ান্টামের মূল্যবোধ রক্ষার জন্য লড়াকু বাহিনী
রূপে ভূমিকা না রাখতেন তাহলে অআজ বিশ্ব এনালগই
থেকে যেত, ডিজিটালের মুখ দেখা যেতো কিনা সন্দেহ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, আইনস্টাইন
দুই যুগান্তকরি তত্ত্বের জন্য নোবেল পুরস্কার পান নি, পেয়েছেন ফটো ইফেক্ট তত্বে কোয়ান্টাম
তত্ত্ব ব্যবহার করে রীতিমত কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রায়োগিক স্থপতিতে পরিণত হন। যেমন
অআইনস্টাইন ছিলেন সাধারণ অআপেক্ষিকতা তত্ত্বের তাত্ত্বিক (থিওরিটিক্যাল) স্থপতি। বাস্তব
বা প্রায়োগিক (প্র্যাক্টিক্যাল) স্থপতি ছিলেন কাল শোয়ার্জসিল্ড। সাধারণ অআপেক্ষিকতা
তত্ত্ব প্রকাশের এক মাস যেতে না যেতে কার্ল সোয়াজশিল্ড সাধারণ তত্ত্ব ব্যবহার করে
দূরাকাশে প্রথমবারের মত ব্ল্যাকহোলের অস্তি্ত্ব তাত্তি্কভাবে অআবিস্কার করেন। ২০১৯
সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মত ব্ল্যাকহোলের ছবিধারণে সক্ষম হন। এতে সাধারণ
অআপেক্ষিকতা তত্ত্বের বাস্তবতা প্রমাণিত হয়। এত সব কিছুর পরও পদার্থ বিজ্ঞানের মাধ্যমে
মহাবিশ্বকে জানার পরিমাণ জানা গেছে মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ। বাকী ৯৫/৯৬ শতাংশ নাকি ডার্ক
অর্থাৎ অজ্ঞাত। ধারণা করা হচ্ছে এ সব নিহিত রয়েছে ডার্ক এনার্জি অআর ডার্ক ম্যাটারে।
যদি ডার্ক এনার্জি অআর
ডার্ক ম্যাটারের মধ্যে বাকী ৯৫/৯৬
শতাংশ জানা যায় তাহলে কি ফিজিক্সের সব জানা যাবে? সির্ণ মনে করে বাকী ৯৫/৯৬ শতাংশ জানা
গেলে ফিজিকসের বড় জোর অর্ধ শতাংশ জানা যাবে বাকী অর্ধ শতাংশ নিহিত রয়েছে “বস্তু/পদার্থ কণা কি দিয়ে তৈরি”? এ প্রশ্নের
জবাবের মধ্যে। বর্তমানে পদার্থ বিজ্ঞানে শতভাগ গবেষণা হচ্ছে কেবলঃ “মহাবিশ্বের বস্তু/পদার্থ কণা কিভাবে তৈরি”?
এ প্রশ্নের।
উপরোক্ত বর্ণনার অআলোকে এটা
সুস্পষ্ট যে, বর্তমান পদার্থভিত্তিক পদার্থ বিজ্ঞান দ্বারা পুরো ফিজিক্স (প্রকৃতি
বিজ্ঞান) জানা যাবে না, জানা যাবে কেবল “মহাবিশ্বের
বস্তু/পদার্থ কণা কিভাবে তৈরি”? যদি ডার্ক এনার্জি অআর ডার্ক ম্যাটারকে পুরোপুরি জানা
যায়-যা এখনও অজ্ঞাত, অজানা বিষয়। এতে জানা
যাবে না কখনওঃ “মহাবিশ্বের বস্তু/পদার্থ কণা কিভাবে তৈরি”? এ প্রশ্নের উত্তর। সুতরাং যতদিন মহাকর্ষ বলের রহস্য, তার প্রতিবল গ্র্যাভিটনসহ
ডার্ক এনার্জি অআর ডার্ক ম্যাটারকে পুরোপুরি
জানা যাবে না ততদিন “মহাবিশ্বের বস্তু/পদার্থ কণা কিভাবে তৈরি”? সে ব্যাপারে পুরোপুরি
জানা যাবে না।
আল্লাহর হাত আছে সত্য; তবে তা আমাদের
মতো হাত নয়। আল্লাহ দেখেন-এ তাই বলে আমাদের মত চোখ থাকা জরুরী নয়।
· উল্লেখ্য, আল্লাহ জাল্লা
জালালাহু স্ব অস্তিত্বে আছেন-এই অস্তিত্ব স্বীকারের নাম ইউমিনুনা বিল গয়ব অর্থাৎ
আমানতু বিল্লাহ। আল্লাহকে পাখির মত দেখা যুবতীর খবসুরতে দেখা ইউমিনুনা বিল গয়ব
অর্থাৎ আমানতু বিল্লাহর শর্ত নয়। প্রশ্ন করা হয়েছিল এ জগতে সবচেয়ে জ্ঞানী কে?
প্রত্তুতরে হযরত জাফর সাদেক রহিমাহুল্লাহ বলেছিলেনঃ আল্লাহই একমাত্র নিরঙ্কুশ
জ্ঞানের অধিকারী। রসুল সাঃ আল্লাহর শিফাত সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা-গবেষণা করতে তাগিদ
দিয়েছেন-ইসমি জাত সম্পর্কে নয়। অথচ ইসমি জাত নিয়ে শতধা বিভক্ত মুসলিম উম্মাহ এ
নিয়েও বিভক্ত। আল্লাহ আছেন শাহী রগ থেকেও নিকটে, বান্দা তুমি যেখানে আমিও সেখানে।
আবার তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে অআর্শে অআজীমের উপরে অবস্থিত কুরসি থেকে পৃথিবীর আকাশে
নেমে আসেন। মিরাজ সংঘটিত হয় সপ্তাকাশের উর্ধ্বে।এ ক্ষেত্রে পীর সাহেবের ন্যায় বলা
যেতে পারেঃ আল্লাহ আল্লাহর জায়গায় আছেন। যেমন আল্লাহ আল্লাহর মত। কেমন মত? এ
প্রশ্ন যেমন অনুচিত। তেমনি আল্লাহ কোন্ জায়গায় আছেন এ প্রশ্ন করাও অনুচিত। বরং
পীর সাহেবের আদলে বলা যেতে পারেঃ আল্লাহ আল্লাহর জায়গায় আছেন। তাহাজ্জুদের ওয়াক্তে
(শেষ রাত্রে) আসেন আল্লাহ কেবল সামায়াদ্দুনইয়া অর্থাৎ দুনিয়ার আকাশে, দুনিয়ার
মাটিতে নয়। কারণ পৃথিবীর মাটি মূলতঃ দুই প্রকার ক) পাক মাটি খ) নাপাক মাটি।
ফিজিক্সের মাধ্যমে পুরো প্রকৃতি
বিজ্ঞানকে জানতে হলে “বস্তু/পদার্থ কণা কি দিয়ে তৈরি”? তা জানতে হবে তবে সির্ণ মনে
করে তাতেও পু্রোপুরি জানা হবে না প্রকৃতির পুরো বিষয় গুলি। কারণ, মডার্ণ কসমোলজিক্যাল
স্ট্যান্ডার্ড মডেল একটি সীমাবদ্ধ তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। এই তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা
হচ্ছে এই মডেল অআইনস্টাইনের বিশেষ এবং সাধারণ অআপেক্ষিতা তত্ত্বের উপর ভিত্তিশীল। স্ট্যান্ডার্ড
মডেল এতই বিশেষ এবং সাধারণ অআপেক্ষিতা তত্ত্বের নির্ভরশীল যে, নিউট্রিনোর গতি অআলোর
গতির মাত্র ৬০ ন্যানো সেকেন্ড বেশি প্রমাণিত হলেই স্ট্যান্ডার্ড মডেল পরিত্যক্ত তত্ত্বে
পরিণত হয়ে যাবে। এ কারণে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে সার্ণ কর্তৃক অপেরা প্রজেক্টের অআওতায়
১৬০০০ বার পরীক্ষান্তে নিউট্রিনোর গতি অআলোর গতির মাত্র ৬০ ন্যানো সেকেন্ড বেশি
প্রমাণিত হলে স্টিফেন হকিংসহ বিশ্বের খ্যাতনামা পদার্থবিজ্ঞানীরা তা মেনে নেননি, স্ট্যান্ডার্ড
মডেল বাতিল হওয়ার আশংকায়। সির্ণ মনে করে এতেও পদার্থ বিজ্ঞান ভুলে বসেছে অআইনস্টাইনের
ই.এম.সি স্কোয়ারে নির্ধারিত অআলোর গতির রাউন্ড ফিগার অআর ফ্রাকশন ফিগারের ব্যাপারটি। স্ট্যান্ডার্ড মডেল ধারণ করে অআলোর রাউন্ড ফিগার।
প্রকৃত অআলোর গতির ফিগার হচ্ছে ফ্রাকশন ফিগার। গাণিতিক হিসাব সহজীকরণের জন্য স্ট্যান্ডার্ড
মডেল ধারণ করে অআলোর রাউন্ড ফিগার।যাকে বলা যেতে পারে অআইনস্টাইনীয়ান স্টান্ডার্ড
লাইট ফোর্স। গ্রীনীচ মান সময়ের মত ইএসএলএফ-একে অআলোর গতির স্টান্ডার্ড স্বীকৃত হলে
নিউট্রিনোর গতি ৬০ ন্যানো সেকেন্ড কেন ৬০ সেকেন্ড/মিনিট/ঘন্টা এগিয়ে গেলেও স্টান্ডার্ড
মডেলের তাত্তিক অসুবিধা নেই বলে সির্ণ মনে করে।
প্রকৃতি হতে পারে ফিজিক্সের অআপাততঃ
শেষ মন্জিল। এমন প্রশ্ন রয়েছে যার উত্তর এই মহাবিশ্বে পাওয়া যাবে না-বিজ্ঞানীদের এই
স্বীকারোক্তিমতে, এমন প্রশ্ন করা উচিত নয়, যার উত্তরে রয়েছে প্রশ্নের বীজ। অন্ততঃ
ফিজিক্সের ক্ষেত্রে যদি মহাবিশ্বের সূচনার উত্তর পাওয়া যায় বিগ ব্যাংয়ে, বিগ ব্যাংয়ের
উত্তর হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনে, রেডিয়েশনের উত্তর নেচার বা প্রকৃতিতে, প্রকৃতির
পূর্বে কী? এর উত্তর রয়েছে অনন্ত অসীম পর্যায়ে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সে পথের অআগ্রহী
নয়। তাতে অআশংকা থাকে, অসীমে হারিয়ে যাওয়ার। প্রকৃতি অসীম জগতের বন্ধ দরজা স্বরূপ।
তা যতক্ষণ খোলা না যাবে ততক্ষণ অসীম সাগরে ডুব দেয়া যাবে না। অআইজাক নিউটন জীবন সায়াহ্নে
দাঁড়িয়ে এই অসীমের ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন এই বলেঃ.......................................................................................................................।
নিউটন এই অসীমত্বের সন্ধান পান মহাকাশে মহাকর্ষের স্বরূপ দেখে এই বলেঃ মনে হয় কোন
এক অদৃশ্য শক্তির দড়ির টানে........................................।
সির্ণ মনে করে, প্রকৃতি বিজ্ঞানকে
প্রকৃতভাবে জানতে হলে স্ট্যান্ডার্ড মডেলকে আইনস্টাইনের বিশেষ এবং সাধারণ অআপেক্ষিতা
তত্ত্বের উর্ধ্বে রাখতে হবে। প্রথমে ফিজিক্সের সংজ্ঞা পূর্বতন সংজ্ঞায় অর্থাৎ পদার্থ
বিজ্ঞানকে ফিজিক্সের সাথে একীভূত করতে হবে, পৃথক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অআপাততঃ
মহাবিশ্বের কেন্দ্রবিন্দু ধরতে হবে প্রকৃতিকে। তাতে অন্ততঃ পদার্থ বিজ্ঞানের প্রায়
পুরোটা জানা সম্ভব হবে। বিশেষ করে চার মৌলিক প্রশ্নের জবাব একসাথে পাওয়া যেতে পারে
মর্মে সির্ণ মনে করে। ১) “মহাবিশ্বের বস্তু/পদার্থ
কণা কিভাবে তৈরি”? ২) “বস্তু/পদার্থ কণা কি
দিয়ে তৈরি”? ৩) ডার্ক এনার্জি এবং ডার্ক ম্যাটার ৪) মহাকর্ষের স্বরূপ।
সির্ণের গবেষণায় জানা যায় যে, দশ অজানা পদার্থ বিজ্ঞানের
বিষয়ের জট নিহিত রয়েছে হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনে যার বিস্ফোরণে বিগ ব্যাং বা
মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের উদ্ভব। বিগ ব্যাংয়ের পূর্বে কি ছিল? এর উত্তর অজ্ঞাত
নয় সির্ণ মনে করে স্ট্যান্ডার্ড মডেলে রয়েছে। পদার্থ বিজ্ঞান হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনকে
হয়তো ভুলে বসেছে কিংবা এড়িয়ে গেছে। তাই এ বিজ্ঞানে বিগ ব্যাংয়ের স্থান আছে; হাইয়েস্ট
এনার্জেটিক রেডিয়েশন অআলোচনায় নেই। শুধু তা-ই নয়, মহাবিশ্বের মৌলিক বিষয় বা কেন্দ্রবিন্দু
প্রকৃতি (নেচার) যা মহাবিশ্বের উৎসমূল হিসাবে অআমরা প্রবলভাবে বিশ্বাসী হলও কেবল কথার কথারূপে অর্থাৎ শাব্দিক উচ্চারণে ব্যবহৃত,
প্রচলিত। প্রকৃতি হতে পারে হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনের উৎসমূল। অআর হাইয়েস্ট এনার্জেটিক
রেডিয়েশন হতে পারে ডার্ক এনার্জি, ডার্ক ম্যাটার, মহাকর্ষ, গ্র্যাভিটন রহস্যের মূলোৎস।
Comments
Post a Comment