UPDATE

 UPDATE

ডার্ক এনার্জির সমাধানঃ ডার্ক এনার্জির সমাধান খুঁজতে হবে জাবের ইবনে হাইয়ানের মূল সূত্রঃ প্রত্যেক বিষয় মূলে পৌঁছে-এই সূত্রে  মহাবিশ্বের মূলে গিয়ে। উল্লেখ্য, ল্যাম্বা....ভিত্তিক মডার্ণ কসমোলজিক্যাল স্ট্যান্ডার্ড মডেল তত্ত্ব অনুসারে যেহেতু বিগ ব্যাং পূর্ব হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনে ৪ মহাবল (এমনকি বিগ ব্যাং পরবর্তী ১০-৪৩ সেকেন্ড পর্যন্ত) একীভূত ছিল সেহেতু ডার্ক এনার্জি হতে পারে ৪ বলের সাথে, ফোটনের সাথে, হিগস বোসনের সাথে মিথস্ক্রিয়াবিহীন হাইয়েস্ট এনার্জেটিক রেডিয়েশনেরই এক বৃহদাংশ।

ডার্ক ম্যাটারের সমাধানঃ

বিশ্ব প্রকৃতিতে বিজ্ঞানের ভূমিকা অনেকটা শস্য ফলাতে কৃষকের কিংবা সন্তানের ব্যাপারে পিতা-মাতার ভূমিকার ন্যায়। কৃষক যেমন ধানের চারা রোপন, মাটির উপরস্থিত রক্ষণাবেক্ষন ব্যতিত মাটির নিম্নস্থিতে চারার অংকুরোদ্গমের ব্যাপারে এবং পিতা-মাতার সন্তানের অঙগ প্রত্যঙ্গ এমনকি কেশাগ্রহ সৃষ্টিতে ভূমিকা নেই তেমনি বিজ্ঞানে বিজ্ঞানীদের একটি অণু-পরমাণুও কৃত্রিম ব্যাতিত অকৃত্রিম সৃষ্টিতে কোনো ভূমিকা নেই।

আইনস্টাইনের যুগান্তকরী ভরশক্তি সমীকরণ।

 “জড়তা” কি বস্তুর “শক্তির” উপর নির্ভরশীল? –এ শিরোনামে ১৯০৫ সালে “Analen Dar Physic” নামক এক গবেষণাধর্মী জার্নালে জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন । অ্যারিস্টটল কথিত “জড়তা” নিউটনের পরিভাষায় যা “ভরবেগ” উক্ত গবেষণাপত্রে আইনস্টাইন সেই জড়তা বা ভরবেগেরই নাম দিলেন “ইনার্শিয়া”। আর এই ইনার্শিয়াকে আবার আইনস্টাইন অভিহিত করেন বস্তুর “ভরশক্তিরূপে। এ মত-কে কেন্দ্র করে আইনস্টাইন রচনা করেন এক যুগান্তকরী সমীকরণ যার নাম ভরশক্তি সমীকরণ।

আইন্সটাইন মূলত E=mc^2 সমীকরণের সাহায্যে এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছেন যেভর এবং শক্তি আলাদা আলাদা কোনো বিষয় নয়বরং এরা পরস্পর একই জিনিসশুধু দুইটি অবস্থাতে আছে। E=mc^2 সমীকরণটির E= energy বা শক্তি, M= mass বা ভর এবং c= আলোর গতীর মান।

এখন প্রশ্ন করতে পারেন এখানে আলোর গতি কোত্থেকে আসলো? আসলে আপেক্ষিকতার তত্ত্বের গণিত থেকে আলোর গতির মানটি উঠে এসেছে, এটাকে আপাতত রূপান্তর ফ্যাক্টর মনে করলেই হচ্ছে। অর্থাৎ আইন্সটাইননের সমীকরণের মূলভাব ছিলো যে, ভর থেকে শক্তি বা শক্তি থেকে ভর রুপান্তর সম্ভব।

আরো সহজভাবে বলতে গেলে, ভরশক্তি/স্থিরশক্তি/স্থিরভর (যেটাই বলেন না কেনো) থেকে বিভিন্ন প্রকার শক্তি যেমন তাপশক্তি বা গতিশক্তি, বৈদ্যুতিক শক্তি, যান্ত্রিক শক্তি ইত্যাদী রুপান্তর সম্ভব এবং অন্যদিকে শক্তির বিভিন্ন রুপকে ভরশক্তি/স্থিরশক্তি/স্থিরভর-এ রূপান্তর সম্ভব।

ভর আর শক্তি কি একই জিনিস হয়?  মানুষ যতই জানুক না কেনো, কিছু জিনিস এখনো আছে যা মানুষের ধরা ছোয়ার বাইরে এমনকি ধারনারও অনেক বাইরে।

আজকের এই পদার্থবিজ্ঞান দুই একদিনের পরিশ্রমের ফল নয়, হাজার হাজার বছর ধরে বিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রমের ফলাফল আজকের এই পদার্থ বিজ্ঞান। বিজ্ঞানী আইন্সটাইন কে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর, আজকের আর্টিকেলে আমরা আইন্সটাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বের একটি সমীকরণ E=mc^2 নিয়ে অত্যান্ত সহজ ভাষায় আলোচনা করবো।

মনে করুন, আপনি একটি অন্ধকার ঘরের মধ্যে আছেন, এবং আপনার হাতে একটি আপেল আছে। আর ঘরটিতে কিছুই নেই বা কোনো প্রকার আলোর উৎস ও নেই। এখন ঘরটি থেকে বের হতে গেলে আপনার কাছে আলোর উৎস থাকতে হবে, এমতবস্থাই আপনি আইন্সটাইনের E=mc^2 সমীকরণের মাধ্যমে আপনার হাতের আপেল থেকে আলোর উৎস তৈরি করতে পারবেন। অর্থাৎ হাতের আপেলের ভরকে শক্তিতে রুপান্তর করতে পারবেন, হোক সেটা আলোকশক্তি, যান্ত্রিক শক্তি বা বৈদ্যুতিক শক্তি।

আরেকটা উদাহরন দিয়ে নেই, ধরুন আপনি ঐ একই ঘরের মধ্যে আছেন, কিন্তু এবার ঘরটি অন্ধকার নয় ঘরের একটা জানালা দিয়ে আলো আসছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আপনার হাতে আপেলটি নেই। আপনার প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছে, এখন আইন্সটাইনের E=mc^2 সমীকরণের সাহায্যে আপনি জানালা দিয়ে আসা আলোকশক্তিকে ভরে রুপান্তর করে আপেল তৈরি করতে পারবেন। কি মজা লাগছে না বিষয়টা?

আইন্সটাইন মূলত E=mc^2 সমীকরণের সাহায্যে এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, ভর এবং শক্তি আলাদা আলাদা কোনো বিষয় নয়, বরং এরা পরস্পর একই জিনিস, শুধু দুইটি অবস্থাতে আছে। E=mc^2 সমীকরণটির E= energy বা শক্তি, M= mass বা ভর এবং c= আলোর গতীর মান।

এখন প্রশ্ন করতে পারেন এখানে আলোর গতি কোত্থেকে আসলো? আসলে আপেক্ষিকতার তত্ত্বের গণিত থেকে আলোর গতির মানটি উঠে এসেছে, এটাকে আপাতত রূপান্তর ফ্যাক্টর মনে করলেই হচ্ছে। অর্থাৎ আইন্সটাইননের সমীকরণের মূলভাব ছিলো যে, ভর থেকে শক্তি বা শক্তি থেকে ভর রুপান্তর সম্ভব।

আরো সহজভাবে বলতে গেলে, ভরশক্তি/স্থিরশক্তি/স্থিরভর (যেটাই বলেন না কেনো) থেকে বিভিন্ন প্রকার শক্তি যেমন তাপশক্তি বা গতিশক্তি, বৈদ্যুতিক শক্তি, যান্ত্রিক শক্তি ইত্যাদী রুপান্তর সম্ভব এবং অন্যদিকে শক্তির বিভিন্ন রুপকে ভরশক্তি/স্থিরশক্তি/স্থিরভর-এ রূপান্তর সম্ভব।

 কিন্তু আসলে কি বাস্তবে আইন্সটাইনের এই সমীকরণটির সত্যতা নিরুপন হয়েছে? তাহলে জেনে নেই তত্ত্বটি কি শুধু তাত্তিকভাবেই প্রমাণিত হয়ে আছে নাকি বাস্তবেও প্রমাণিত হয়েছে।

তাত্ত্বিক মতভেদের স্বরূপ

কোনো ‌‌‌কোনো তাত্ত্বিকের মতে, ভরশক্তিকে অন্যান্য শক্তি যেমন তাপশক্তি, গতিশক্তি ইত্যাদীতে রুপান্তর করা সম্ভব হলেও কিন্তু তাপশক্তি, গতিশক্তিকে ভরশক্তিতে রুপান্তর করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এরপক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয় যে, সামান্য পরিমান কণা তৈরি করতে যে প্রচুর পরিমান শক্তি এবং গতিশক্তির প্রয়োজন তা কোনোভাবেই তৈরি করা সম্ভবনা নয়।

পক্ষান্তরে CIRNN মনে করে যে, প্রায় আলোর বেগে বিলিয়ন বিলিয়ন প্রোটন কণার পরস্পর মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটিয়ে সৌর কেন্দ্রের সৌরশক্তির তুলনায় লক্ষ গুণ শক্তি সন্চার করে সেকেন্ডে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন কম্পন শক্তি সৃষ্টি করে সার্ণ কর্তৃক ২০১২ সালে কৃত্রিমভাবে হিগস বোসন কণা উৎপন্নের মধ্য দিয়ে আইনষ্টাইনের এই E=mc^2 তত্বটি প্রমাণিত বলে যা স্ট্রিং থিওরির সত্যতাকেও প্রতিপন্ন করে।

তাছাড়া E=mc^2 তত্বে শর্ত সাপেক্ষে আলোর নিরঙ্কুশ যে গতি বেঁধে দেয়া হয়েছে সে শর্তটিও CIRNN  গ্রহণযোগ্য মনে করে। শর্তটি হচ্ছে, যদি কোনো বস্তু কণা  (যেমন প্রোটন কণা) কোনো অসীম গতির কারণে আলোর গতি ছাড়িয়ে যায় তাহলে নিউট্রিনোর মত প্রায় ভরশুন্য বস্তুকণা আলোর গতি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে আইনস্টাইন তৎসময়ের এনালগ যুগের বিবেচনায় আলোর গতি ছাড়িয়ে যাওয়াকে অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন এই যুক্তিতে যে, গতি বৃদ্ধির সাথে বস্তুর ভরত্ব বৃদ্ধির সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। আইনষ্টাইনের এই E=mc^2 তত্বের  স্ট্যান্ডার্ড গতি হচ্ছে আলোর গতি (সেকেন্ডে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল)।  কোনো কারণে আলোর গতি (সেকেন্ডে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইলের এত অধিক হলে পর সে কণাটি আলোর গতি ছাড়িয়ে যেতে পারে। যে গতিকে আইনস্টাইন বলেছেন “অসীম শক্তি”।  অর্থাৎ অসীম শক্তি প্রয়োগ হলে পর কোনো বস্তুকণা আলোর গতি ছাড়িয়ে যেতে পারে। এরূপ ব্যাখ্যায় আমরা আইনস্টাইনের E=mc^2 তত্বের সাথে  র‍্যাপ ড্রাইভ, ওয়ার্ম হোল তত্ত্বের যে বৈসাদৃশ্যতা তার মধ্যে একটা নীতিগত সমঝোতার  আলো দেখা যেতে পারে ।

আইনস্টাইন আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্বের সাহায্যে একটি বিখ্যাত সম্পর্ক বের করেন। এটি হলো ভর ও শক্তির সম্পর্ক।

ভরকে শক্তিকে রূপান্তরের সম্পর্ক নিম্নোক্তভাবে লেখা যায়,

E=mc² ------------------------------(i)

যেখানে,

E= মোট শক্তি

m= বস্তুর ভর এবং

c= আলোর দ্রুতি

সম্প্রসারিত কর্মকান্ড:

গতিশীল অবস্তায় বস্তুর ভর বৃদ্ধি পায় এই তথ্য ব্যবহার করে কোনো বস্তুর গতিশক্তি নির্ণয় করলে দেখা যায় যে,ভরকে শক্তিতে রূপান্তর করলে প্রচুর শক্তি পাওয়া সম্ভব।

এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন নিচে তৈরী করা হল:

সংকেত:

আমরাজানি যে,কোন বস্তুকে নিশ্চল অবস্থা থেকে গতিশীল অবস্থায় আনতে যে পরিমাধ কাজ করতে হয় তাকে বস্তুর গতিশক্তি বলে। অর্থাৎ,

বস্তুর গতিশক্তি = গতিশীল বস্তু দ্বারা সম্পাদিত কাজ

ধরাযাক, বস্তুটিকে গতিশীল করতে F বল প্রয়োগ করা হলো এবং বস্তুটি বলের দিকে ds পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করল।

সুতরাং, গতিশক্তি=Fds

বস্তুটির অতিক্রান্ত মোট দূরত্ব S হলে,

মোট গতিশক্তি, T = ∫ Fds --------------------(ii) [uper limit s lower limit 0]

আমরাজানি যে,

F = d/dt (mv)

এবং ds/dt = v

.'. ds = v dt

এখন F ও ds এর মান বসিয়ে,

T = ∫ d/dt (mv). vdt

[uper limit mv lower limit 0]

= ∫ vd (mv) [ s=0 mv =0 , s=s mv=mv]

= ∫ v ( vdm + mdv)

= ∫ ( v² dm + mdv ) -----------------------(iii)

আপেক্ষিকতা থেকে আমরাজানি যে,

m = m/ √ 1  v²/c²

m² = m2 / 1  v²/c²

 ( 1  v²/c² ) m² = m²

 ( c²  v²/c² ) m² = m²

 m² c²  m² v² = m2 c²

এই সমীকরণকে অন্তরীকরণ করে পাওয়া যায়,

2mc² dm  ( 2mv² dm + 2 vm² dv)=0

c² dm  v² dm = mvdv

 mvdv + v² dm = c² dm

এই মান সমীকরণ (ii) বসিয়ে পাই,

T = ∫ c² dm [ mv=0 m=m,mv=mv m=m], [uper limit m lower limit m]

এখানে m নিশ্চল ভর।

.'. T = c² ∫ dm

= c² [m] [uper limit m lower limit m]

= c² (m  m)

.'. T = mc²  m

 T + mc² = mc² -----------------------(iv)

বস্তু যদি স্থির থাকে তখন তার মধ্যে ভরের কারণে যে শক্তি সঞ্চিত থাকে তাকে নিশ্চল ভরশক্তি বা নিশ্চল শক্তি বলে যা হলো m

সুতরাং, মোট শক্তি, E = T + m

= গতিশক্তি

https://malayalamsub.com/%E0%A6%B8%E0%A7%8D

মেনে নিতে হবে যে বিজ্ঞান তত্ব ও যুক্তির উপর ভিত্তি করে চলে। তবে আইনষ্টাইনের এই E=mc^2 তত্বটি অনেকটা গ্রহনযোগ্য।

“নিবিড় গবেষণা” হচ্ছে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির “প্রাণ” বা “উৎসমূল” যা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাধারণতঃ সম্ভবপর নয়। এ কারণে দ্রুত করোনা ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব করোনা কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন যে, সংঘাত পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য। 
 
"Intensive research" is the "lifeblood" or "source" of science and technology that is not normally feasible under war conditions. For this reason, in order to establish a peaceful environment for the rapid development of a corona vaccine, the UN Secretary General called on the people of the world at the beginning of the Corona Covid-19 outbreak to avoid conflict and unite.
 
But regrettably, despite the strict lockdown, border skirmishes continued along the Sino-Indian border. Then the Russian-Ukraine tragedy. Stephen Hawking's fear of aliens, we think may be corona covid-19.
 
Because of our warlike attitude, we have forgotten that our self-respect in the world is rooted in our knowledge, the misuse of which is the plight of the human race today. Therefore, without the practice of knowledge-based civilization, peace can become a golden deer in our world.

 

কিন্তু পরিতাপের বিষয়, কঠোর লকডাউন অবস্থায়ও চীন-ভারত সীমান্তে সীমান্ত সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল। পরবর্তীতে রুশ-ইউক্রেন ট্র্যাজিডি। স্টিফেন হকিং যে এলিয়েনের আশংকা করেছিল আমরা মনে করি হয়তো করোনা কোভিড-১৯ তারই মহড়া।

আমাদের যুদ্ধ মনোভাবের কারণ, আমরা ভুলে গেছি, পৃথিবীতে আমাদের আত্মমর্যাদার মূলে আছে আমাদের জ্ঞান, যার অপব্যবহারে আজ মানব জাতির দূরবস্থা। তাই জ্ঞানভিত্তিক সভ্যতার চর্চা ব্যতিত আমাদের পৃথিবীতে শান্তি সোনার হরিণ হয়ে যেতে পারে।

জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যাখ্যায় মনে করা হয় প্রত্যেক সপ্নেরই একটা নির্দিষ্ট অর্থ লুকিয়ে আছে।

তবে আধুনিক যুগে এসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিন কোরিয়া এবং ভারতের মানুষদের উপর স্বপ্ন নিয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যে ৭৪ শতাংশ ভারতীয়, ৬৫ শতাংশ কোরিয়ান এবং ৫৬ শতাংশ আমেরিকান মানুষ তাদের সপ্নের বিষয়বস্তুকে তুলনা করেছেন তাদের অবচেতন মনের অপূরন আকাঙ্ক্ষা এবং বিশ্বাসের সাথে।ক্যালভিন এস হল একজন আমেরিকান সাইকোলজিস্ট যিনি স্বপ্ন নিয়ে বৃহৎ পরাশুনা করছেন, ১৯৬৬ সালে ক্যালভিন এস হল এবং ভ্যান দ্যা ক্যাসল মিলে স্বপ্নের উপর একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন যেটির নাম দ্য কন্টেন্ট এনালাইসিস অফ ড্রিমস। বইটিতে যারা কোডিং পদ্দতিতে এক হাজার কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের স্বপ্নের প্রতিবেদন তুলে ধরেছেন।

বইটিতে তাঁরা খুব আশ্চর্যজনক একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, সেটি হলো যে পুরো বিশ্বের মানুষ সাধারণত একটু বিষয়ের উপরেই সপ্ন দেখে আর মানুষ অধীকাংশ স্বপ্নই ইতিমধ্যে ঘটে যাওয়া বিষয় সম্পর্কে দেখে। তবে তাদের গ্রন্থটির মুখ্য বিষয়টুকু ছিলো যে প্রতিটা সপ্নেরই আলাদা আলাদা মানে রয়েছে, কোনোটা একটু পরিচিত আবার কোনোটা অপরিচিত। তবে মানুষ মাঝে মাঝে হয়তো এমন স্বপ্ন দেখে যার কোনো মানেই তারা খুঁজে পায়না, তারা নিজেকেই প্রশ্ন করে এমন স্বপ্ন কেনো দেখলাম, এই ধরনের সপ্নকে সাধারণত, দুঃসপ্ন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

দুঃসপ্নের মূহুর্ত হলো র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট অর্থাৎ ঘুমন পর্যায়ের শেষ তৃতীয়াংশ মুহুর্ত। মুলত আমাদের ঘুমন্ত সময়কালকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা যায়, প্রথম ভাগ হলো স্লিপ অনসেট, দ্বিতীয় ভাগ হচ্ছে লাইট স্লিপ এবং তৃতীয় এবং চতুর্থ ভাগ নিয়ে র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট, যেই পর্যায়ে এসে মূলত দুঃস্বপ্ন হয়।  সি.অআই.অআর.এন.এন মনে করে এ সময় শুধু দুঃস্বপ্ন নয়, সব স্বপ্ন মানুষ দেখে থাকে যা অনসেট, দ্বিতীয় ভাগ হচ্ছে লাইট স্লিপ হয় না। মূলত দুঃস্বপ্ন হয়। https://malayalamsub.com/স্বপ্ন-কেনো-দেখি/

আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে স্বপ্ন নিয়ে একটু হলো কৌতুহল কমেছে। আর্টিকেলটিতে ব্যাবহৃত সমস্ত তথ্য ইন্টারনেট ভিত্তিক, কোথাও কোনো ভুল ত্রুটি চোখে পড়লে অবশ্যই জানাবেন। আপনার যদি এমন আরও অনুচ্ছেদ পড়তে ভালো লাগে; তবে আপনি আরও পড়তে পারেন প্যারালাল ইউনিভার্স বা মাল্টিভার্স

  •  

·         আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘুরছে, সবকিছুই একটি নির্দিষ্ট দিকে অর্থাৎ এন্টি ক্লকওয়াইজ ঘুরছে, কিন্তু কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর ব্যাখ্যা অনুসারে ইলেকট্রন একই সময়ে ক্লক-ওয়াইজ ও এন্টি-ক্লকওয়াইজ ঘুরতে পারে। সবকিছু নির্দিষ্ট একটি দিক অনুযায়ী ঘুরলেও শুধু ইলেক্ট্রন একই সাথে ক্লকওয়াইজ এবং এন্টি ক্লকওয়াইজ ঘুরতে পারে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন এখানে ইলেক্ট্রনের ঘোরার সাথে প্যারালাল ইউনিভার্সের কি সম্পর্ক? হ্যাঁ সম্পর্ক আছে, আরো সহজভাবে বিষয়টি বুঝতে হলে আমাদের ছোট্ট একটি উদাহরন নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

·         মনে করুন, একটি আবদ্ধ ঘরের মধ্যে একটি ঘুর্নায়মান ইলেক্ট্রন রাখা হলো, যেটি কোন দিকে ঘুরবে সেটি কোনোভাবেই পুর্বে থেকে জানা নেই। একটি ঘুর্ণন সনাক্তকারী যন্ত্রের সাহায্যে এই ইলেকট্রনটিকে যুক্ত করা হলো, যার অন্যপ্রান্তে একটি হাতুরি রাখা আছে এবং হাতুরির সামনে রাখা আছে বিষাক্ত গ্যাসভর্তি একটি কাঁচের টেস্টটিউব।

·         এখন যদি ঘরের মধ্যে থাকা ইলেক্ট্রনটি ক্লকওয়াইজ ঘোরে তাহলে ঘুর্ণন সনাক্তকারী যন্ত্রটি বুঝতে পারেবে এবং হাতুরি কতৃক কাঁচের টেস্টটিউবটি ভেঙ্গে বিষাক্ত গ্যাস ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে এবং ফলস্বরুপ ঘরের মধ্যে থাকা বিড়ালটি মারা যাবে। অন্যদিকে যদি ইলেকট্রনটি এন্টি ক্লকওয়াইজ ঘোরে তাহলে এসবের কিছুই হবে না এবং বিড়ালটি বেঁচে থাকবে। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হলো ঘরের মধ্যে এই দুটি ঘটনার মধ্যে আসলে কোনটি ঘটবে?

·         এটার উত্তর হবে দুটাই, অর্থাৎ বিড়ালটি একইসাথে বেঁচেও থাকবে এবং মরেও যাবে। কি বিষয়টা গোলমেলে লাগতেছে? হ্যাঁ এটা আসলেই গোলমেলে, এখানে ফলাফল নির্ভর করবে পরিদর্শকের উপর। যদি আমরা এই এক্সপেরমেন্ট এর জন্যে ভিন্ন ভিন্ন দুটি পর্যবেক্ষক রাখি তবে কেউই একসাথে দুটি ফলাফল দেখতে পারবে না। একজন দেখবে বিড়ালটি মারা গেছে এবং অন্যজন দেখবে বিড়ালটি বেঁচে আছে এবং একজন অন্যের টা কখনোই দেখবে না।

·         তাহলে এই থিওরির মূল বিষয়টি কি দাঁড়ালো? ভিন্ন বা বিপরিত দুটি ঘটনা একই সময়ে একই স্থানে ঘটতে পারে এখানে ভিন্ন ভিন্ন পর্যবেক্ষকের জন্য পর্যবেক্ষন দুটি সময়রেখায় বিভক্ত হয়ে যাবে আর সময়রেখা দুটি সমান্তরালে চললেও এদের দূরত্ব কখনো শেষ হবার নয়!

·         আর এই বিষয়টিই প্যারালাল ইউনিভার্স কে ইঙ্গিত করে, গাণিতিক এই সম্ভাবনার ফলে এটা বুঝতে পারা যায় আমাদের সমান্তরালেই আরো একটি ইউনিভার্স আছে যেখানে আমাদের সাথে ঘটা ঘটনাগুলোর বিপরীত ঘটছে। শুধু একটাই নয় বরং অনেকগুলো ইউনিভার্স একসাথে থাকতে পারে, এটা নির্ভর করে সম্ভাবনার উপর, ঠিক যত সম্ভাবনা ততগুলো ইউনিভার্স।

·         যদিও বিজ্ঞান এখনো সীমাবদ্ধ, প্যারালাল ইউনিভার্স এর বিষয়গুলো তাত্ত্বিকভাবে প্রমানীত হলেও বাস্তবে এর কোনো অস্তিত্ত্ব আবিষ্কার এখনো সম্ভব হয়নি। হয়তো ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের আরো অগ্রযাত্রার ফলে এগুলো প্রমান সম্ভব হয়ে উঠবে, এই সম্ভাবনা নিয়েই আমাদের সামনে এগুতে হবে। শেষ করছি আজকের আলোচনা।https://malayalamsub.com/প্যারালাল-ইউনিভার্স/

স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি বা বিশেষ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব

গতি এবং সময় পরম বা নিরপেক্ষ নয় আপেক্ষিক কিভাবে এটা জানতে হলে আমাদের ছোট একটা উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করতে হবে, প্রথম উদাহরন থেকে আপনি বুঝতে পারবেন গতি কিভাবে আপেক্ষিক, পড়তে থাকুন…

মনে করুন আপনি আপনার মোটরসাইকেলে করে করে ঘন্টায় ৭০ কিমি গতিতে যাচ্ছেন এবং আপনার পেছনে আপনার একজন বন্ধুও বসে আছে, এখন আপনার বন্ধুর সাপেক্ষে আপনার গতি ০ কিমি বা আপনার সাপেক্ষে আপনার বন্ধুর গতি কিন্তু ০ কিমি। কিন্তু রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো এক ব্যাক্তির সাপেক্ষে আপনাদের গতি ঘন্টায় ৭০ কিমি।

এখন ধরেন সামনে থেকে আরেকটি মটরসাইকেল ঘন্টায় ৭০ কিমি গতিতে আপনাদের দিকে আসছে, যেহেতু আপনার গতি ৭০ কিমি এবং সামনে থেকে আসা মটরসাইকেলের গতিও ৭০ কিমি, সেহেতু আপনার মনে হবে সামনে থেকে আসা মটরসাইকেলের গতি ঘন্টায় ১৪০ কিমি। তাহলে এই উদাহরন থেকে সহজেই বোঝা যায় যে গতি আপেক্ষিক এবং অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে গতিরও পরিবর্তন হয়।

এখন আসি সময় আপেক্ষিক কেনো, আঠারশো শতাব্দির শেষের দিকে এটা প্রমানীত হয় যে আলোর বেগ একটা ধ্রুবরাশি, যা কোনো স্থান বা কোনো অবস্থাতেই পরিবর্তিত হয়না এবং এর সাথে সাথে এটাও নির্দিষ্ট ছিলো যে এই মহাবিশ্বে আলোই একমাত্র সবথেকে বেশী গতিশীল যা প্রতি সেকেন্ডে 3.10^8 মিটার বা ১৮৬০০০ মাইল এবং পৃথিবীর কোনো বস্তুই এই আলোর গতির চেয়ে বেশী গতি লাভ করতে পারবে না।

সময়কে আপেক্ষিক প্রমান করতে গিয়ে আইন্সটাইন একটি যুক্তি প্রতিস্থাপন করেছেন, ধরে নেয়া যাক একটা মহাকাশযান তৈরি করে মহাকাশে পাঠানো হলো যার গতি সেকেন্ডে প্রায় আলোর গতির সমান এবং মহাকাশ যানটির সামনে একটি আলোর উৎস লাগিয়ে দেয়া হলো। এখন এই মহাকাশ যানটির বেগ এবং এর সামনের আলোর উৎস থেকে আসা আলোর বেগ যদি হিসেব করা হয় তাহলে আলোর বেগের দ্বিগুন বেগ পাওয়া যাবে।

এই সমীকরন এর মূল বিষয়টি হলো, ঐ মহাকাশ যানে থাকা মানুষগুলোর জন্যে পৃথিবীর তুলনায় সময় অনেক ধীরে চলবে, অর্থাৎ তাদের এক বছর সমান পৃথিবীর হাজার বছরের সমান হতে পারে। এই থিওরি থেকে মুলত আইন্সটাইন এটাই প্রমান করতে চেয়েছে যে সময় ধ্রুবক নয় বরং এটাও আপেক্ষিক। মুলত এই তত্ত্বটি থেকেই সময় পরিভ্রমনের বিষয়টি উঠে আসে।

তাহলে চলুন এবার জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি বা সাধারন আপেক্ষিকতার তত্ত্ব নিয়ে আলোচনায় আসা যাক।

জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি বা সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব

বিজ্ঞানী আইন্সটাইন তার স্পেশাল থিওরি অফ রিলেটিভিটি তে সম্পুর্ণভাবে সন্তষ্ট ছিলেন না, তাই তিনি আবারো গবেষনা শুরু করেন এবং ১৯১৬ সালে এই জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি উদ্ভাবন করেন। আইন্সটাইনের এই তত্ত্বের মুল বিষয় এটাই ছিলো যে গ্রাভিটি সময়ের উপর কিরূপ প্রভাব ফেলে।

একদিকে নিউটন মনে করেন যে পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহসমূহ মহাকর্ষ বলের প্রভাবে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে, কিন্তু এর প্রেক্ষিতে আইন্সটাইন নিউটনকে আরো একবার ভুল প্রমাণিত করে বলেন যে পৃথিবী বা অন্যান্য গ্রহ সূর্যের চারিদিকে মহাকর্ষ বল বা গ্রাভিটি জনিত বলের কারনে ঘোরেনা! বরং গ্রাভিটির কারনে সৃষ্ট স্থান ও কালে আসা বক্রতার কারণে পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে।

আইন্সটাইনই সর্বপ্রথম স্থান কাল এবং বক্রতার ধারণা প্রদান করেন। যেখানে তিনি স্পষ্টভাষায় বলেছিলেন যে গ্রাভিটি সময়ের উপর প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ যে বস্তুর গ্রাভিটি যতবেশী তার জন্যে সময় ততো ধীরে চলে, কিন্তু মহাবিশ্বের অন্যস্থানে সময় দ্রুত চলবে। মূলত গ্রাভিটি মহাকাশে একধরনের ভাগ তৈরি করে এজন্য মহাকাশে থাকা কোনো বস্তু তার পাশে থাকা কোনো ভারি বস্তুকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে।

আইন্সটাইন আরো বলেছেন যে গ্রাভিটি আলোর উপর প্রভাব ফেলে কিন্তু আলোর বেগের উপর কোনো প্রভাব ফেলে না। সাধারনভাবে আমরা জানি যে আলো সরলরেখায় চলে, কিন্তু আইন্সটাইন তার জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটিতে এটা বলেছেন যে আলো স্থান ও কালে আসা বক্রতার কারণে ভারী বস্তুর দিকে কিঞ্চিত বেঁকে যায় আর এজন্যই তারা বা অন্যান্য নক্ষতকে তার মূল অবস্থান থেকে ভিন্ন অবস্থানে দেখাচ্ছে বলে মনে হয়।

এবং এরই প্রেক্ষিতে আইন্সটাইন E=mc^2 সমীকরণটি প্রদান করেন যা ভর আর শক্তি কি একই জিনিস কিনা প্রমান করে। এই সমীকরনটি বর্তমান পদার্থবিজ্ঞানের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সমীকরণ, যেটা নিয়ে লেখতে গেলে হয়তো বা আজকের আলোচনা অনেক বড়ো হয়ে যাবে, তাই আমরা এই সমীকরণটি পরবর্তি আর্টিকেলে আলোচনা করার জন্যে রেখে দিলাম।

তো যাইহোক আজকের আলোচনা আর দীর্ঘ না করি। যুগে যুগে পৃথিবীতে অনেক বিজ্ঞানী অনেক তত্ত্ব দিয়ে গেছেন, কালের বিবর্তনে বেশিরভাগই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কখনো বা উন্নত প্রযুক্তি, আবার কখনো তুখর কল্পনাশক্তির কাছে ভুল প্রমানিত হয়েছে পুর্বের অনেক তত্ত্ব, ঠিক যেমন নিউটনের তত্ত্বকে ভুল প্রমাণিত করেছে আইন্সটাইন, হয়তো বা এমন এক সময় আসবে যখন আমরা আরো উন্নত প্রযুক্তির দ্বারা এই তত্ত্বগুলোকে বাস্তবে রুপান্তরিত হতে দেখবো। ধন্যবাদ সবাইকে, ভালো থাকবেন।

১০ বছর বয়সে তার উপর মাক্স টালমুড নামক চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক ছাত্রের বিশেষ প্রভাব পড়েছিল। তাদের বাসায় সে মাঝে মাঝেই নিমন্ত্রণ খেতে যেতো। এভাবে এক সময় সে আইনস্টাইনের অঘোষিত প্রশিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।[১০] টালমুড তাকে উচ্চতর গণিত ও দর্শন বিষয়ে শিক্ষা দিত। টালমুড তাকে অ্যারন বার্নস্টাইন লিখিত শিশু বিজ্ঞান সিরিজের (Naturwissenschaftliche Volksbucher, ১৮৬৭-৬৮) সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। এই বইয়ে লেখক বিদ্যুতের সাথে ভ্রমণ তথা একটি টেলিগ্রাফ তারের ভিতর দিয়ে চলাচলের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। আইনস্টাইন তখন নিজেকে প্রশ্ন করেন, এভাবে যদি আলোর সাথে ভ্রমণ করা যেত তাহলে কি ঘটত? এই প্রশ্নটি পরবর্তী ১০ বছর তার মনে ঘুরপাক খেতে থাকে। তিনি ভেবে দেখেন, আলোর সাথে একই গতিতে ভ্রমণ করলে আলোকে স্থির দেখা যাবে, ঠিক যেন জমাটবদ্ধ তরঙ্গ। আলো যেহেতু তরঙ্গ দিয়ে গঠিত সেহেতু তখন স্থির আলোক তরঙ্গের দেখা দিবে। কিন্তু স্থির আলোক তরঙ্গ কখনও দেখা যায়নি বা দেখা সম্ভব নয়। এখানেই একটি হেয়ালির জন্ম হয় যা তাকে ভাবিয়ে তোলে। ১৩ বছর বয়সে যখন তিনি দর্শন (এবং সঙ্গীতের) প্রতি আরও গুরুতর আগ্রহী হয়েছিলেন টালমুডই তাকে ইউক্লিডের এলিমেন্টস এবং ইমানুয়েল কান্টের ক্রিটিক অফ পিউর রিজন বইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। এরপরেই কান্ট তার প্রিয় দার্শনিক হয়ে ওঠেন। এলিমেন্ট্‌স পড়ে আইনস্টাইন অবরোহী কারণ অনুসন্ধান প্রক্রিয়া জানতে পারেন। স্কুল পর্যায়ে ইউক্লিডীয় জ্যামিতি আয়ত্ত করার পর তিনি ক্যালকুলাসের প্রতি মনোযোগী হন। দুই বছরের মাথায় তিনি দাবি করেন যে তিনি সমাকলন এবং অন্তরকলন ক্যালকুলাস আয়ত্ত করে ফেলেছেন।

Comments

Popular posts from this blog

Ashraful Ambia Muhammadur Rasulullah Sallallahu A'laihi Wasallam: in the eyes of prominent Non-Muslim scholars

The Alhambra in Granada, Spain

প্রত্যেক বিষয় মূলে পৌছে (ফারাবী আল আরাবী)।